প্রতীকী ছবি।
জেলের আবাসিকদের তৈরি জিনিস এ বার শহরের রাস্তায় ফিরি করা হবে। এবং এ ভাবে নিজেদের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করবেন বন্দিরাই।
কারা দফতর সূত্রের খবর, সম্প্রতি মেদিনীপুর জেলের বন্দিদের এমন উদ্যোগকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। সব ঠিক থাকলে জুনে নিজেদের তৈরি জিনিসপত্র মেদিনীপুর শহরে ফেরি করবেন বন্দিরা।
মেদিনীপুর জেলের খবর, বন্দিদের তৈরি গামছা, বিছানার চাদর, মগ, বালতি, রসগোল্লা, বোঁদে, মিহিদানা, পান্তুয়া, কাঠের ছোটখাটো আসবাব ও সুতির নৈশবস্ত্র বিক্রি হবে। মিষ্টি তৈরির জন্য জেলে পৃথক বিভাগ তৈরি হচ্ছে। থাকছে বন্দিদের তৈরি মুড়ি, বাদামভাজা, ছোলাভাজা প্রভৃতি। প্যাকেটে ভরে তা বিক্রি করা হবে গাড়িতে। প্যাকেটে ঝালমুড়ি বিক্রির ভাবনাও রয়েছে।
কারা দফতরের এক কর্তা জানান, তিহাড় জেল থেকে শুরু করে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গে এত দিন শুধু জেলের বাইরে দোকান দিয়ে বন্দিদের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি হতো। মেদিনীপুরেও বন্দিদের তৈরি জিনিস বিক্রি হয় জেলের বাইরের দোকানে। নতুন প্রকল্পে প্রচারের পাশাপাশি বাজারে চাহিদাও তৈরি হবে বলে আশা করছে কারা দফতর।
ছোট ম্যাটাডর ভ্যানে বন্দিরা জিনিস ফিরি করবেন। তাই একটি ভ্যানকে দোকানের মতো সাজানো হচ্ছে। রোজ তিন জন বন্দিকে দৈনিক প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হবে। চালকের সঙ্গে জেলের বাইরে গিয়ে গাড়িতে জিনিসপত্র ফিরি করবেন তাঁরা। তাঁদের জন্য রক্ষী থাকবে না। সূর্যাস্তের আগে তাঁদের জেলে ফিরে আসতে হবে। মেদিনীপুর জেলের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, জিনিস ফিরি করার প্রস্তাবে দ্রুত সায় দিয়েছে কারা দফতর। বন্দিদের জিনিসপত্র তৈরির উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার ফলে রাজ্যের প্রায় সব জেলেই বন্দিদের জিনিসপত্রের উৎপাদন এবং বৈচিত্র বেড়েছে। এ বার সেই সমস্ত জিনিসপত্র বিক্রি করাটাই চ্যালেঞ্জ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy