কেন্দ্র ও রাজ্যের জন বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সিটু, আইএনটিইউসি, এআইইউসির ডাকে বুধবার জেলা সদর এবং মহকুমাগুলিতে আইনঅমান্য আন্দোলন হয়। সিউড়িতে নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক রামচন্দ্র ডোম, ব্রজ মুখোপাধ্যায়, শেখ ইসলামের মতো নেতারা। এ দিন সসকালে মিছিল করে শহর প্ররিক্রমার পর সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সিউড়ি প্রশাসন ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। তখন ব্যারিকেড গড়ে ভিতরে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। এই নিয়ে পরিস্থিতি সামান্য উত্তপ্ত হয়। তবে বিষয়টি বেশি দূর গড়ায়নি।
রামপুরহাট ও বোলপুর মহকুমায় একই দাবিতে আইন অমান্য কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বোলপুরে প্রায় ৩০০ নেতাকর্মী মহকুমা শাসকের দফতরে ঢুকতে গেলে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জেরে আহত হন একাধিক নেতাকর্মী। সিপিএমের লাভপুরের লাঙ্গলহাটা লোকাল কমিটি সম্পাদক নন্দদুলাল সাহা, জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায়, বোলপুরের জোনাল কমিটি সম্পাদক উৎপল রুদ্র, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সমীর ভট্টাচার্য-সহ ১২ জন নেতাকর্মী আহত হন বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সকলকে ছেড়ে দেওয়া হলেও নন্দদুলালবাবুকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল পুলিশ তাঁদের পরে ছেড়েও দেয়।
সমীরবাবুর অভিযোগ, ‘‘শান্তিপূর্ণ আইন অমান্য আন্দোলনের ওপর পুলিশ আক্রমণ করেছে। নিরস্ত্র, নিরপরাধ নেতাকর্মী, সমর্থকদের মারধর করেছে। এই ঘটনায় আমাদের বর্ষীয়ান নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। ১২ জনের মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে বোলপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।” এ দিন ঘটনাস্থলে বোলপুরের এসডিপিও অম্লানকুসুম ঘোষ, সিআই চন্দ্রশেখর দাস ছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বোলপুর মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে ছিল র্যাফ, বমব্যাট ফোর্স। যদিও পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বোলপুরের এসডিপিও অম্লানকুসুম ঘোষ এবং জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার।