আদালতে: সামনে রাজু, পিছনে পীযুষ। নিজস্ব চিত্র
রাস্তায় গাড়ির সাইড দেওয়া গণ্ডগোলে এক নার্স ও তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিষ্ণুপুরের রাধানগর ফাঁড়ির কাছে। শুক্রবার রাতের ঘটনা।
হইচই শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে চলে আসেন। ফাঁড়ি থেকে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হলেন রাজু গোস্বামী ও তাঁর মামাশ্বশুর পীযুষ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজুর বাড়ি গঙ্গাজলঘাটির দুর্লভপুর আর পীযুষের বাড়ি বিষ্ণুপুরের চুয়ামসিনা গ্রামে। শনিবার ধৃতদের বিষ্ণুপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিন জেল হাজতে পাঠান।
শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ স্বামী প্রশান্ত ভট্টাচার্যের সঙ্গে গাড়িতে বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহির হরিতকি বাগান থেকে রাধানগর গ্রামের বিষ্ণুপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসছিলেন সেখানকার নার্স সংযুক্তা গায়েন ভট্টাচার্য। বিভিন্ন জায়গায় চড়কের মেলা থাকায় রাস্তাই ব্যাপক ভিড় ছিল। রাধানগর ফাঁড়ির কাছে বিষ্ণুপুর থেকে আসা একটি গাড়িতে ছিলেন পীযুষ ও রাজু। রাজু শ্বশুরবাড়ি বিষ্ণুপুরের শালবাগান থেকে চুড়ামণিপুরে চড়ক দেখতে যাচ্ছিলেন।
রাস্তায় গাড়ির সাইড দেওয়া নিয়ে দু’টি গাড়ির লোকজনের মধ্যে বিবাদ থেকে গোলমাল ছড়ায়। সংযুক্তার অভিযোগ, ‘‘রাজু গাড়ি থেকে হঠাৎ নেমে আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। সেই সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করে, পেটে লাথি মারে। চিৎকার করতে স্থানীয় মানুষজন ছুটে আসেন।’’ তাঁরা রাধানগর ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিশ কর্মীরা গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দু’জনকে ধরে গাড়িটি আটক করে।
শনিবার বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ দাবি করেছে, ধৃত দু’জনই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে কেস রুজু করা হয়েছে। এ দিন অভিযুক্তেরা বিষ্ণুপুর আদালতে আসার পথে দাবি করেন, ‘‘গাড়ির হেড লাইট আপার-ডিপার করা নিয়ে ঝামেলা হয়। গাড়ি সাইড কেন দিচ্ছিল না, জানতে গেলে ওঁরা স্বামী-স্ত্রী মিলে আমাদেরই মারধর করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy