পরীক্ষা: বেলকুড়ি গ্রামে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র
ডেঙ্গির থাবা ক্রমেই থাবা বসাচ্ছে পুরুলিয়ায়। বুধবার পর্যন্ত পুরুলিয়া পুরএলাকা-সহ জেলার বিভিন্ন ব্লক মিলিয়ে মোট আট জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছিল। বৃহস্পতিবার ফের তিন জনের রক্তে মিলল মিলল ডেঙ্গির জীবাণু।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরে জানিয়েছে, পুরুলিয়া পুরএলাকার চৌহদ্দি ছাড়িয়ে ডেঙ্গি এ বার থাবা বসিয়েছে রঘুনাথপুর পুরএলাকার নন্দুয়াড়ায়। গোবিন্দ বাউরি নামে এই যুবক জ্বর নিয়ে কয়েকদিন আগে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
অন্য দিকে, পুরুলিয়া ১ ব্লকের বেলকুঁড়ি ও চাকড়া গ্রামে দু’জন ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এই দু’জনের মধ্যে বেলকুঁড়ি গ্রামের আক্রান্ত তিন বছরের বালক এবং চাকড়া গ্রামের আক্রান্ত এক যুবক। বর্তমানে এই দু’জনই পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুরুলিয়া ১ ব্লকের পাশাপাশি দু’টি গ্রামের দু’জনের দেহে ডেঙ্গির জীবাণু মেলার পরে বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল এই দুই গ্রামে যায়। তাঁরা দুই আক্রান্তের বাড়িতে ও এলাকার বাড়িগুলি ঘুরে দেখেন। বেলকুঁড়ি গ্রামে গিয়ে আক্রান্ত বালকের মা-বাবা কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁরা সদরে ছেলের কাছে হাসপাতালে ছিলেন। তবে বালকের দাদু নিবারণ পরামানিকের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। এই গ্রামে বেশ কয়েকটি বাড়িতে বিভিন্ন পাত্রে জমা জলে ডেঙ্গির মশা এডিসের লার্ভার হদিস মিলেছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা দাবি করেছেন। তাঁরা বাসিন্দাদের বাড়িতে বিভিন্ন পাত্রে জমিয়ে রাখা জল অবিলম্বে ফেলে দিতে বলেন।
এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, ‘‘পরিস্থিতি পুরুলিয়া পুরএলাকার থেকে খানিকটা ভাল।’’ তিনি জানান, বেলকুঁড়ি গ্রামের যে বালক আক্রান্ত, সে পুজোর সময় পুরুলিয়া ২ ব্লকের রাঘবপুর গ্রামে মামারবাড়িতে ছিল। ফলে ওই গ্রামেও কেউ জ্বরে আক্রান্ত কি না, তা দেখতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো হয়। পাশাপাশি এ দিন বেলকুঁড়ি ও চাকড়া এই দু’টি গ্রামেও জ্বরে আক্রান্ত কেউ রয়েছে কি না সমীক্ষা করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জ্বরের রোগী থাকলে হাসপাতালে পাঠাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy