হাতে গোলা। পাত্রসায়র থানার শালখাঁড়া গ্রামে। ছবি: শুভ্র মিত্র।
দামোদর নদের চর থেকে মর্টার জাতীয় চারটি বড়সড় লোহার গোলা উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার সকালে পাত্রসায়র থানার শালখাঁড়া গ্রাম লাগোয়া দামোদর নদের চরের বালি খুঁড়ে দু’টি বড় মর্টার জাতীয় গোলা পাওয়া যায়। জলের তলায় পড়ে রয়েছে আরও দু’টি মর্টার জাতীয় গোলা। খবর পেয়ে পাত্রসায়র থানার ওসি রামনারায়ণ পাল বাহিনী নিয়ে গিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলেন। গ্রামবাসীর সহায়তায় জল থেকে পাড়ে তোলা হয় দু’টি গোলাকে। খবর দেওয়া হয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। পুরনো কামানের গোলা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পাত্রসায়রের বিডিও আশিসকুমার বিশ্বাস বলেন, “বৃহস্পতিবার শালখাঁড়া গ্রাম লাগোয়া দামোদর নদে মাছ ধরার সময় জেলেদের প্রথমে নজরে পড়েছিল মর্টার জাতীয় ওই গোলা। পরে গ্রামের মানুষ খোঁড়াখুঁড়ি করে দু’টিকে পাড়ে তোলে। তার মধ্যে একটি ফাঁকা। অন্যটির মুখ সিল করা রয়েছে। বড়সড় ওই দু’টি মর্টার জাতীয় গোলা ৫ ফুটের বেশি লম্বা। বেশ ভারী ওজনের। ওই এলাকাতেই আরও দু’টি মর্টার জাতীয় গোলা জলের তলায় দেখা গিয়েছে। বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে সেগুলিকে দেখে কী করণীয় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।” বিডিও-র দাবি, ওগুলি দেখে বহু দিনের পুরনো বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে ওই মর্টারে বারুদ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ওর ভিতরে কী রয়েছে এবং তা কতদিনের পুরনো তা জানার চেষ্টা চলছে। জলের তলায় পড়ে থাকা কামানের গোলাগুলি থেকে গ্রামবাসীকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, দামোদরের চরে মর্টার বা কামান জাতীয় গোলা উদ্ধারের খবর পেয়ে আশেপাশের বহু গ্রামের মানুষ এ দিন শালখাঁড়া গ্রাম লাগোয়া দামোদরে ভিড় করেন। পুলিশ অবশ্য তৎপরতার সঙ্গে গ্রামবাসীর ভিড় সামলায়। গ্রামবাসীর মধ্যে বিজন মাঝি, রামপদ বাগদি বলেন, “জল কমতেই বালি সরে গিয়েছিল। সেই সময় মাছ ধরতে গিয়ে কয়েকজনের নজরে পড়েছিল একটা লম্বাটে ধাতব পাত্র। হাত দেওয়ার পর বোঝা গিয়েছিল ভারী কিছু হবে। এরপর গ্রামে সে কথা চাউর হতেই অনেকে নদীর চরে দেখতে যান। বালি খুঁড়ে প্রথমে একটি, পরে আরও একটি নজরে আসে। এ দিন সকালে আরও দু’টি দেখা যায়।” জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “বহু পুরনো ওই মর্টার বা গোলাতে বিস্ফোরক বা বারুদ থাকতে পারে। সেই কারণেই সাবধানে সেগুলি নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা হচ্ছে। বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। যা করার তারাই করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy