E-Paper

প্রকাশ্যে গুলিতে খুন ডাম্পার ব্যবসায়ীকে

শুলুঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা গৌতম সোরেন নামে এক গাড়ির ব্যবসায়ী জানান, হোটেলে তিনটে মোটরবাইকে ছ’জন মুখ ঢেকে টাকা ছিনতাইয়ের জন্য হানা দেয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:০৭
মৃত সুদীপ বাস্কি।

মৃত সুদীপ বাস্কি। নিজস্ব চিত্র।

দিনেরবেলা প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হল রামপুরহাট থানা এলাকায় শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলের এক ডাম্পার ব্যবসায়ীকে। রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট থানার নিরিষা পেট্রল পাম্প লাগোয়া এলাকায়। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম সুদীপ বাস্কি (২৮)। তাঁর বাড়ি রামপুরহাট থানার শুলুঙ্গা গ্রামে। সুদীপের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় তাঁকে খুন হতে হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।

রবিবার করে পাথর শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক, গাড়ির চালক, খালাসিদের মজুরি হয়। স্থানীয় এক পাথর ব্যবসায়ীরা জানান, নিয়িষা পেট্রল পাম্প লাগোয়া একটি হোটেলে রবিবার করে এলাকার পাথর শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত গাড়ি ব্যবসায়ীরা পাওনাদারদের সঙ্গে টাকা লেনদেনের জন্য বসেন। এ দিনও ওই হোটেলে টাকার লেনদেন চলছিল। সেই সময়ে ছিনতাইকারীরা ওই হোটেলে হানা দেয়।

শুলুঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা গৌতম সোরেন নামে এক গাড়ির ব্যবসায়ী জানান, হোটেলে তিনটে মোটরবাইকে ছ’জন মুখ ঢেকে টাকা ছিনতাইয়ের জন্য হানা দেয়। ছিনতাইকারীরা যখন কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করার জন্য টানাটানি করছিল সে সময়ে সুদীপ এক জনকে ধরে ফেলেন। তখন এক ছিনতাইকারী খুব কাছ থেকে সুদীপকে গুলি করে। ছিনতাইকারীরা মোটরবাইকেই ঝাড়খণ্ডের দিকে পালিয়ে যায়। আহত সুদীপকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরেই রামপুরহাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গোবিন্দ সিকদার, রামপুরহাট থানার আইসি সুকোমল ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের একাংশ জানান, সুদীপকে কেউ কেউ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। সে কথা তাঁদের সুদীপ জানিয়েছিলেন।

জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ’’নিহত যুবককে দু’টি গুলি করা হয়েছে। কী কারণে গুলি করা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মৃত যুবককে কেউ হুমকি দিত কি না তা নিয়ে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। তবে পুলিশের কাছে কোনও হুমকির অভিযোগ কেউ করেননি।’’

সুদীপের বাবা নলেজ বাস্কিও স্থানীয় একটি পাথর খাদানের অংশীদার। তিনি বলেন, ‘‘সুদীপ বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা আদায় এবং মজুরি দিতে গিয়েছিল। দুপুর বারোটার সময়ে গুলি করার খবর পাই।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আমার ছেলের কোনও শত্রু ছিল না। টাকা ছিনতাইয়ে বাধা দিয়েই খুন হল।’’

আমনদীপ জানান, দুষ্কৃতীদের সংখ্যা, ক’টি মোটরবাইকে এসেছিল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকার নজর-ক্যামেরাগুলি ফুটেজ দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়া থানার এলাকা। তাই দুমকা জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy