হ্যাম রেডিয়োর সাহায্যে মানসিক সমস্যা থাকা এক ব্যক্তি বছর দেড়েক পরে পরিবারের সন্ধান পেলেন। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তিকে হাওড়ার আমতা থানা এলাকায়, নিজের বাড়িতে ফেরানোর জন্য সোমবার বিকেলে হাসপাতালে আসেন ওই ব্যক্তির জামাই-সহ দু’জন। পরিজনদের পরিচয় এবং ঠিকানা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যাল সুপার কাম ভাইস প্রিন্সিপাল (এমএসভিপি) সুজয় মিস্ত্রি এ দিন বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি যেহেতু মানসিক ভারসাম্যহীন, তাই তাঁর আত্মীয়-পরিজনেদের ঠিক ঠিকানা ও পরিচয় খতিয়ে দেখার জন্য রামপুরহাট থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি ওই ব্যক্তিকে কে বা কারা তারাপীঠ থেকে ভর্তি করে চলে যায়। তাঁর গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসার সময় তাঁর অসংলগ্ন আচরণে বোঝা যায়, তাঁর মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেই রোগেরও চিকিৎসা শুরু হয়। রোগীর নজরদারির জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দু’জন নিরাপত্তা রক্ষীকে বিশেষ ভাবে নিয়োগ করা হয়। তবে, ওই রোগীকে কত দিন রাখা যাবে, কোথায় তাঁর বাড়ি—এ সব নিয়ে চিন্তায় ছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন, ওই ব্যক্তির নাম পলাশ পোড়েল। বাড়ি আমতা থানার ছোট মহুরা গ্রামে। বাড়িতে ওই ব্যক্তির স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং এক ছেলে আছেন বলেও জানা যায়।
পলাশ ঠিকঠাক ঠিকানা বলছেন কিনা, সেটা খতিয়ে দেখতে হাসপাতালের তরফে রামপুরহাটের মহকুমাশাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিয়ো ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অম্বরীশবাবু এ দিন বলেন, ‘‘এর আগেও রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার জন রোগীর নাম, পরিচয়, ঠিকানা সন্ধান করে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ১৪ জানুয়ারি হাসপাতাল আর এক জন মানসিক রোগীর ছবি পাঠিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা রেডিয়ো ক্লাবের তরফ থেকে ইকো লিঙ্কের মাধ্যমে যুবকটির ছবি সব হ্যাম রেডিয়ো অপারেটরের কাছে পাঠিয়ে দিই।’’ সেই সূত্রেই পলাশের ঠিকানা এবং পরিচয় পেয়ে অম্বরীশবাবুরা যোগাযোগ করেন হাসপাতালের সঙ্গে।