রাইপুরের অমৃতপালে। নিজস্ব চিত্র
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রিবাহী বাসের তলায় ঢুকে গেল একটি মোটরবাইক। সেই অবস্থায় বাসটি বাইকটিকে ঘষটে নিয়ে যায় আরও কিছুটা। তারপরেই যাত্রিবাহী বাসে আগুন ধরে যায়।
সোমবার সকালে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে, বাঁকুড়া জেলার রাইপুরের অমৃতপালের কাছে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে যাওয়ায় বড়রকম বিপদ এড়ানো গিয়েছে। তবে ছিটকে পড়ে মোটরবাইকের এক মহিলা আরোহীর পায়ে চোট লেগেছে। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাইপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাইকের তেলের ট্যাঙ্ক ফেটে ও ঘর্ষণের ফলে আগুন ধরে যায় বাইকে ও বাসে। বাস থামিয়ে দেন চালক। যাত্রীরা বাস থেকে দ্রুত নেমে পড়েন। আতঙ্কিত যাত্রীরা বাস থেকে নেমে দৌড়তে শুরু করেন। এর জেরে বেশ কিছুক্ষণ ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাইপুরের খড়িগেড়িয়ার সিদ্ধান্ত পাহাড়ির দাবি, ‘‘চোখের সামনে বাইকটা বাসের তলায় চলে গেল। সেটিকে ঘষটে নিয়ে যাওয়ার পরেই দপ করে বাইকটা জ্বলে ওঠে। তারপরেই বাসে আগুন লেগে যায়। যাত্রীরা পড়িমড়ি করে নামতে শুরু করেন।’’ শ্যামসুন্দরপুরের অজয় সিংহের দাবি, ‘‘প্রথমে বারিকুল থানাকে ফোন করি। জায়গাটা তাদের এলাকা নয় জানাতে রাইপুর থানার নম্বর জোগাড় করে খবর দিই।’’
ঝাড়গ্রামগামী পরের একটি বাসের এক যাত্রী ইঁদপুর এলাকার সঞ্জীব মণ্ডল বলেন, ‘‘বাসটাকে জ্বলতে দেখে আমাদের গাড়িটাকে কিছুটা দূরে থামিয়ে দেওয়া হয়। চোখের সামনে বাসটাকে জ্বলতে দেখে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।’’
ঘটনাস্থলে রাইপুর থানার পুলিশের পাশাপাশি আসে খাতড়া দমকল কেন্দ্রের একটি ইঞ্জিন। খাতড়া দমকল কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বাসের অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। লোহার কাঠামো বাদে মোটরবাইকটিও ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।’’ পুলিশ জানায়, বাসের চালক ও খালাসি পালিয়েছে। তাঁদের খোঁজ করা হচ্ছে। পুরো ঘটনারতদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy