E-Paper

‘শিরদাঁড়া বিক্রি নেই’, টি-শার্টে বার্তা পরীক্ষার্থীর

পরীক্ষা বা প্রশ্নপত্র নিয়ে কোনও অভিযোগ না থাকলেও আদালতের নির্দেশে যোগ্য শিক্ষকদের কাছে আগেই ১০ নম্বর পিছিয়ে থাকা নিয়ে এ দিনও ক্ষোভ শোনা গেল নতুন পরীক্ষার্থীদের মুখে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৩১
বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের পরীক্ষার্থী।

বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের পরীক্ষার্থী। নিজস্ব চিত্র ।

একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র পরীক্ষা রবিবার নির্বিঘ্নেই মিটল দু’জেলায়। পুরুলিয়ায় তবে অ্যাডমিট কার্ডের সমস্যায় দু’জন পরীক্ষা দিতে পারেননি বলে জানিয়েছে এসএসসি। কমিশনের পশ্চিমাঞ্চল জ়োনের চেয়ারপার্সন সাধনা খাওয়াসের দাবি, এ দিন অ্যাডমিট পাওয়া দাগি পরীক্ষার্থীদের কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে আসেননি।

বাঁকুড়ার খ্রিস্টান কলেজের কেন্দ্রে ‘শিরদাঁড়া বিক্রি নেই’ লেখা টি-শার্ট পরে পরীক্ষায় বসেন এক চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষিকা বাঁকুড়ার শর্মিষ্ঠা দুয়ারি। গত রবিবার মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষায় তিনি ‘হোক প্রতিবাদ’ লেখা টি-শার্ট পরে পরীক্ষায় বসেছিলেন। এ দিন তিনি বলেন, “আগের দিন বলেছিলাম, এই সরকার আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে নতুন করে লড়াই করতে শেখাল। তাই ‘হোক প্রতিবাদ’ লেখা টি-শার্ট পরেছিলাম। এখন বলব, মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েও যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁরা শিরদাঁড়া সোজা রেখেই পরীক্ষা দিচ্ছেন। কারণ, শিরদাঁড়া বিক্রি নেই।”

পরীক্ষা বা প্রশ্নপত্র নিয়ে কোনও অভিযোগ না থাকলেও আদালতের নির্দেশে যোগ্য শিক্ষকদের কাছে আগেই ১০ নম্বর পিছিয়ে থাকা নিয়ে এ দিনও ক্ষোভ শোনা গেল নতুন পরীক্ষার্থীদের মুখে। বাঁকুড়ার এক নতুন পরীক্ষার্থী বলেন, “একাদশ-দ্বাদশে এমনিতেই আসনসংখ্যা কম। তার উপরে যোগ্য শিক্ষকেরা অভিজ্ঞতার কারণে আমাদের থেকে ১০ নম্বর এগিয়ে থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাই এটা অসম লড়াই। তবে আশা রাখব, এই পরীক্ষা নিয়ে আর অন্তত আইন-আদালত হবে না।” জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের দাবি, সর্বত্র পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নকুলচন্দ্র মাহাতো বলেন, “যাতায়াত ব্যবস্থায় কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি। নির্দিষ্ট সময়েই কেন্দ্রগুলিতে প্রশ্নপত্র পৌঁছে গিয়েছিল। কোনও পরীক্ষার্থীর সমস্যায় পড়ার খবরও মেলেনি।”

এ দিন পুরুলিয়ায় দুই পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ডের সমস্যায় পরীক্ষায় বসতে পারেননি। সাধনা জানান, এক পরীক্ষার্থীর বিষয় ছিল সংস্কৃত। কিন্তু অ্যাডমিটে পরীক্ষার বিষয় উল্লেখ ছিল সাঁওতালি। আর এক পরীক্ষার্থীরও বিষয় কম্পিউটার সায়েন্স হলেও অ্যাডমিট কার্ডে ছিল বাংলা।

সাধনা বলেন, “অ্যাডমিট কার্ডে কোনও ভাবে ভুল হয়ে থাকতে পারে। তবে অ্যাডমিট কার্ড পাওয়ার পরে ত্রুটি সংশোধনের অনেক সময় দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ওই দুই পরীক্ষার্থী সংশোধন করাননি। পরীক্ষাকেন্দ্রে অ্যাডমিটে কার্ডে ত্রুটি ধরা পড়ায় তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।”

তাঁর সংযোজন, দু’জেলাতেই সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা হয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

purulia

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy