পারিবারিক বিবাদের জেরে থানা চত্বরে বৌদির উপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ উঠল প্রথম পক্ষের দেওরের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় রামপুরহাট থানা চত্বরে ঘটনাটি ঘটে। আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। হামলার পরে পালিয়ে গেলেও পুলিশ রামপুরহাট স্টেশন থেকে হামলাকারী ওই নাবালককে গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’’
আক্রান্ত মহিলার মা জানান, মাস তিনেক আগে তাঁর মেয়ের রামপুরহাটে বিয়ে হয়। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পরে মেয়ের উপর তাঁর স্বামী অত্যাচার করছিল। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের বিচ্ছেদ করে নতুন করে আবার বিয়ে দিয়েছিলাম।’’ তার পরেও প্রথম পক্ষের জামাই ফোনে হুমকি দিত বলে অভিযোগ। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার তা নিয়ে মীমাংসার কথা ছিল।
আক্রান্ত মহিলার মা বলেন, ‘‘রামপুরহাটে এলে ওরা আমার বাবা, মা, আমাকে ও আমার স্বামীকে মারধর করতে থাকে।’’ তিনি জানান, ঘটনার কথা জেনে রামপুরহাট থানার পুলিশ প্রথম পক্ষের জামাই ও তার বাবাকে ধরে নিয়ে থানায় নিয়ে যায়। থানায় আসার পরে পুলিশ তাঁদের হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট নিয়ে আসতে বলে। আক্রান্তের মায়ের দাবি, ‘‘থানায় যাওয়ার পথে প্রথম পক্ষের জামাইয়ের মা এবং তার ছোট ছেলে আমার মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি মেয়েকে থানায় রেখে হাসপাতাল যাচ্ছিলাম। তখনই ছেলে আমাকে বলে মেয়ের মুখে এবং গায়ে অ্যাসিড হামলা করেছে তার স্বামীর ভাই।’’
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক অবশ্য দাবি করেন, থানা চত্বরে কোনও হামলা হয়নি। তিনি জানান, থানার বাইরে চায়ের দোকানে অভিযোগ লেখার সময় অ্যাসি়ড ছুড়ে এক নাবালক পালিয়ে যায়। পুলিশ পরে রামপুরহাট স্টেশন থেকে ওই নাবালককে গ্রেফতার করে। আক্রান্তের মায়ের অভিযোগ, ‘‘থানা চত্বরে পুলিশের সামনে মেয়ের উপর অ্যাসিড হামলা হয়েছে। আমরা অভিযুক্তর শাস্তি চাই।’’ নাবালক কী করে অ্যাসিড পেল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘কী ভাবে ঘটনা ঘটেছে তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)