Advertisement
E-Paper

সভাপতিকে ধরার দাবিতে অবরোধ

ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ মামলাও রুজু করেছে। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরা হয়নি, আদালতে গোপন জবানবন্দি পর্যন্ত নেওয়া হয়নি নির্যাতিতার। তৃণমূলের বাঁকুড়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকে ঘিরে পুলিশের এই ভূমিকায় ক্রমশ ক্ষোভ ছড়াচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৫ ০০:৫১

ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ মামলাও রুজু করেছে। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরা হয়নি, আদালতে গোপন জবানবন্দি পর্যন্ত নেওয়া হয়নি নির্যাতিতার। তৃণমূলের বাঁকুড়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকে ঘিরে পুলিশের এই ভূমিকায় ক্রমশ ক্ষোভ ছড়াচ্ছে।

রবিবার বিকেলে এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বাঁকুড়ার কেরানিবাঁধ মোড়ে সাময়িক পথ অবরোধে নামে এসইউসি-র পরিচারিকা সমিতি। সংগঠনের জেলা সভা নেত্রী লক্ষ্মী সরকার বলেন, “দু’বছর ধরে বাড়ির পরিচারিকাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। এত গুরুতর অভিযোগ পাওয়ার পরেও পুলিশ তদন্ত শুরু করেনি। আদালতে নির্যাতিতার বয়ান পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। অভিযুক্ত শাসক দলের নেতা বলেই পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে।” একই অভিযোগ তুলছেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদিকা সুদীপা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর কথায়, “অভিযুক্ত প্রভাবশালী বলেই তদন্ত প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে একজন মহিলা, সেখানে মহিলারাই বিচার পাচ্ছেন না। এটা আমাদের লজ্জা!” এ দিকে জেলাপুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার থেকেই প্রশিক্ষণের জন্য জেলার বাইরে গিয়েছেন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার। তাঁর জায়গায় দায়িত্বে নিয়েছেন অনুপ জয়সওয়াল। ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমি বিষয়টি কিছুই জানি না। সবে দায়িত্ব নিয়েছি।”

বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অলোক সিংয়ের বিরুদ্ধে দু’বছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ করার অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরই বাড়ির পরিচারিকা। অভিযোগ ওঠার পর থেকেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন অলোকবাবু। অভিযোগকারিনী ওই মহিলা বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। অভিযোগ জানানোর দিন থেকেই পুলিশের ভূমিকায় নানা প্রশ্ন উঠছিল। প্রথম দিন অভিযোগের প্রতিলিপি না দেওয়া, নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষায় দেরি করাকে কেন্দ্র করে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল নানা মহল থেকে। তাতবে শুক্রবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বাঁকুড়া পুলিশ ধর্ষণের মামলা রুজু করায় তদন্তে গতি আসবে বলেই মনে করেছিল নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু আদপে তা হয়নি। অভিযোগ জমা পড়ার চার দিন পরেও কেন আদালতে নির্যাতিতার বয়ান নেওয়া হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। বাঁকুড়া সদর থানাও এ নিয়ে কুলুপ এঁটেছে।

Agitation police rape trinamool
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy