বিজয়া সম্মিলনীতে অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র।
এক সঙ্গে চলার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকেই বিধানসভা ভোটের ‘লিডও’ বেঁধে দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার বিকেলে মহম্মদবাজারের সোঁতসালের একটি অনুষ্ঠান ভবনে রামপুরহাট বিধানসভার মহম্মদবাজার ১ ব্লকের এই বিজয়া সম্মিলনীতে অনুব্রত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটে বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী প্রমুখ। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
বিজয়া সম্মিলনীতে প্রথম থেকেই এক সঙ্গে চলার বার্তা দিয়ে আসছেন অনুব্রত। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কেউ নেতা নই। আমরা সকলেই কর্মী। তাই যাঁরা তৃণমূল করেন , তাঁদের কোনও অহঙ্কার থাকে না।’’ তাঁর পরামর্শ, ‘‘কোনও মানুষকে ছি ছি করবেন না। সকলকে এক সঙ্গে নিয়ে চলবেন।’’
এর পরেই এ দিন মঞ্চ থেকে ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ৩০ হাজার ভোটে লিড দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি, মহম্মদবাজার ২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি তাপস সিংহকে ২০ হাজার ভোটে লিড দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেন। তিনি উল্লেখ করেন লোকসভা ভোটে সেকেড্ডা পঞ্চায়েতে লিড কম হয়েছে। ওখানে লিড বাড়াতে হবে বলেও স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনারুল শেখকে মঞ্চ থেকে নির্দেশ দেন অনুব্রত।
নির্দেশ পাওয়ার পরে কালীপ্রসাদ ও তাপস জানান, এ দিন বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে আমাদের জেলা সভাপতি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যে লিড দেওয়ার নির্দেশ দিলেন, আমরা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। তাঁর নির্দেশ মতো লিড দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করব।
যদিও বিজেপি বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক কৃষ্ণকান্ত সাহা বলেন, ‘‘যতই লিড বেঁধে দিক, কোনও লাভ নেই। সম্প্রতি জেলা সফরে এসে তো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রতের নামই নেননি। ২৬-এর আগেই তৃণমূল দলের পতন অনিবার্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy