মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও দিদি কেন ভোট পাবেন না? রবিবার ইলামবাজারে অঞ্চল ভিত্তিক জনসভায় এমন প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। একই সঙ্গে তিনি ২০২৬ সালের জেলার জঙ্গলমহল এলাকা থেকে লিড আরও বাড়ানোর লক্ষ্যও বেঁধে দিলেন তিনি। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, ইলামবাজারের ব্লক সভাপতি ফজলুর রহমান প্রমুখ।
১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তৃণমূলের অঞ্চল ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন শুরু হয়েছে। রবিবার ইলামবাজারের রামনগর এলাকায় তেমনই এক সম্মেলনের আয়োজন হয়েছিল। তাতে প্রধান বক্তা ছিলেন অনুব্রত। তাঁকে এ দিন রুপোর তীর-ধনুক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এই অ়ঞ্চলে মোট ১৫টি বুথ রয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের এর মধ্যে তিনটি বুথে দ্বিতীয় স্থানে ছিল তৃণমূল। তাই এ দিন মঞ্চ থেকে অনুব্রতের প্রশ্ন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮৬টি প্রকল্প করেছেন আপনাদের জন্য। এমন কোনও বাড়ি নেই যে প্রকল্পের সুবিধা পায়নি। তা হলে দিদি কেন ভোট পাবে না? কেন ভোটের কলসি ভর্তি হবে না।’’
এর পরেই অনুব্রতের দাবি, ‘‘২০২৬ সালে ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে পশ্চিমবঙ্গটা বীরভূম জেলাটা সোনার মত থাকবে। সুন্দর কাজ হবে। মানুষের জন্য উনি চিন্তাভাবনা করেন। মিথ্যা কথা বলে ধোঁকা দেন না। বেইমানি জানেন না।” এর পরেই তিনি আগামী ২০২৬-এর বিধানসভার জন্য লক্ষ্য বেঁধে দিয়ে অনুব্ত বলেন, ‘‘১২ টা বুথের মানুষকে বলব, আগে যা লিভ দিয়েছেন, ২৬-এ আরও ভোট দিতে হবে।’’ পাশাপাশি, পিছিয়ে থাকা তিনটে বুথেও জয়ের নির্দেশ দেন অনুব্রত।
ইলামবাজার বনাঞ্চলের মধ্যে থাকা ১২টি বুথের বাসিন্দাদের জঙ্গল পেরিয়ে ইলামবাজার পঞ্চায়েতে যেতে হয়। তাই এলাকাবাসীর সুবিধার্থে এই অঞ্চলের মোট ১৫টি বুথকে নিয়ে একটি নতুন পঞ্চায়েত গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে বলবেন বলে জানান অনুব্রত।
ইলামবাজারে ব্লক সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, “২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের দলের কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন। প্রতি বুথেই আমাদের লিড থাকবে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)