Advertisement
E-Paper

ভাঙা সেতুতে পড়ল মাটির প্রলেপ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়েরা

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের সুভাষপল্লি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বিড়াই নদী। গ্রামের মানুষকে শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য সমস্ত বিষয়েই বিড়াই নদী পেরিয়ে ছুটতে হয় মহকুমা সদর বিষ্ণুপুর শহরে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ২২:১২
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের সুভাষপল্লি সেতু।

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের সুভাষপল্লি সেতু। — নিজস্ব চিত্র।

বছর দুয়েক আগে বন্যায় ভেঙে পড়েছিল পাকা সেতুর একাংশ। তার পর থেকে সেই ভাঙা সেতু দিয়ে হেঁটেই নদী পারাপার করছিলেন স্থানীয়েরা। কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েত বাঁশের খুঁটি দিয়ে মাটির প্রলেপ দিতেই সেই সেতুর উপর দিয়ে শুরু হল যান চলাচল। আর তাতেই বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের সুভাষপল্লি সেতুর।

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের সুভাষপল্লি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বিড়াই নদী। গ্রামের মানুষকে শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য সমস্ত বিষয়েই বিড়াই নদী পেরিয়ে ছুটতে হয় মহকুমা সদর বিষ্ণুপুর শহরে। বছর দুয়েক আগে পর্যন্ত নদী পারাপারের জন্য ছিল পাকা সেতু। কিন্তু বছর দুই আগে বন্যার জলের তোড়ে ভেঙে যায় সেতুর একাংশ। বিপজ্জনক ভাবে ঝুলতে থাকে সেতুর মাঝের অংশ। বার বার সেতু মেরামতির দাবিতে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি দফতরের দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয়েরা। কিন্তু কোনও তরফেই সেতুটি মেরামতির কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নিতান্ত বাধ্য হয়ে সেই ভাঙা সেতু দিয়ে নদী পারাপার করে আসছিলেন গ্রামের মানুষেরা। সম্প্রতি স্থানীয় দ্বারিকা গোঁসাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত হাজার দশেক টাকা খরচ করে সেতুর ওই ভাঙা অংশে বাঁশের খুঁটি দিয়ে মাটি ভরাট করে দেয়। আর তাতেই সেতুর উপর দিয়ে শুরু হয় যান চলাচল। স্থানীয়দের দাবি, বছর দুই আগে বন্যায় সেতুর ভিত নড়বড়ে যায়। ভেঙে ঝুলতে থাকে সেতুর একাংশ। এত দিন বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে থাকা সেতুর ওই অংশ দিয়ে স্থানীয়েরা কোনও ক্রমে হেঁটে অথবা সাইকেল নিয়ে পারাপার করছিলেন। কিন্তু এখন পঞ্চায়েত ওই ভাঙা অংশে বাঁশের খুঁটি দিয়ে মাটি ভরাট করে দেওয়ায় সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নীলরতন রায় বলেন, ‘‘এখন যানবাহনের ভার বহন করতে অক্ষম ওই সেতু। তার পরেও যে ভাবে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে, তাতে যে কোনও সময় তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’’ স্থানীয় টোটোচালক গণেশ ঠিকাদার বলেন, ‘‘আমরা সেতুটির স্থায়ী সংস্কার চেয়েছিলাম। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে সেতুর উপর মাটি ফেলে তার উপরের অংশ সমান করে দেওয়া হয়েছে। এই মাটি সরে গিয়ে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটবে।’’

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত অবশ্য বিষয়টিকে সাময়িক সমাধানের চেষ্টা হিসাবেই দাবি করেছে। দ্বারিকা গোঁসাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক লোহার বলেন, ‘‘সেতুর স্থায়ী মেরামতির জন্য প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্দ করা পঞ্চায়েতের সাধ্যের বাইরে। সরকারি ভাবে দ্রুত সেতুটির স্থায়ী সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। তার আগে চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে নদীর অপর পাড়ে থাকা ষাড়েশ্বর মন্দিরকে ঘিরে গাজনের মেলা বসে। সেই গাজন মেলায় অসংখ্য ভক্ত ও পূণ্যার্থীরা যাতায়াত করেন। সেই ভক্ত ও পূণ্যার্থীদের যাতায়াতের কথা ভেবেই ওই সেতুটির সাময়িক সংস্কার করা হয়েছে।’’

bankura bridge collapse
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy