আকাশবাণী এবং দূরদর্শন কেন্দ্রের শান্তিনিকেতন যোগের কথা উল্লেখ করে মোদীকে চিঠি লিখেছেন চন্দ্রনাথ। নিজস্ব চিত্র
কবির দেওয়া নামেই ‘আকাশাবাণী’র নাম। এমনকি শান্তিনিকেতনের দূরদর্শন কেন্দ্রের কাজও শুরু হয়েছিল বিশ্বভারতীর ‘সঙ্গীত ভবনে’র একটি ছোট্ট ঘরে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত সেই দূরদর্শন কেন্দ্র বন্ধ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত তাই আরও একবার ভেবে দেখার অনুরোধ করলেন বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি দিয়ে মন্ত্রী লিখেছেন, যেখানে মোদী নিজে বিশ্বভারতীর আচার্য সেখানে তাঁরই মন্ত্রকের তরফে শান্তিনিকেতনের দূরদর্শন কেন্দ্র বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক।
গত বছর আগস্ট মাস থেকেই শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্র সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। তবে স্থায়ীভাবে তা বন্ধ হবে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। শান্তিনিকেতনের দূরদর্শন কেন্দ্রের সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার কারণে অনিশ্চিয়তায় পড়েছেন দূরদর্শন কেন্দ্রের ১৯ জন ইঞ্জিনিয়ার। বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয় বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। এরপরেই আকাশবাণী এবং দূরদর্শন কেন্দ্রের শান্তিনিকেতন যোগের কথা উল্লেখ করে মোদীকে চিঠি লেখেন চন্দ্রনাথ।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রের সাথে শান্তিনিকেতনের অটুট সম্পর্ক রয়েছে । তাই শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্র বন্ধ করা হলে তাতে কবিগুরুকেই অবমাননা করা হবে।
প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতনের দূরদর্শন কেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। আগামী বছর ১ জানুয়ারির পরও সেখান থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে। তবে তা করতে হবে কলকাতা প্রসার ভারতী চ্যানেলের মাধ্যমে। কারণ দূরদর্শনের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ায় বাদ দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু কেন্দ্রের অ্যান্টেনা পরিষেবা। শান্তিনিকেতন তার মধ্যে একটি। এই সিদ্ধান্তের কারণেই অনিশ্চয়তায় পড়েছেন শান্তিনিকেতনের দূরদর্শন কেন্দ্রের ১৯ জন অ্যান্টেনা ইঞ্জিনিয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy