Advertisement
০৪ মে ২০২৪

প্রতিরোধ জেলায়, দাবি বামেদের

একই দিনে সিমলাপালের সিপিএম নেতৃত্ব দাবি করেছেন, শাসকদলের লোকজনের বাধার সামনে রুখে দাঁড়িয়ে মনোনয়ন জমা করেছেন তাঁরা। তবে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, কোনও বাধাই দেওয়া হয়নি। ফলে প্রতিরোধের প্রশ্নই ওঠে না।

সিমলাপাল ব্লক অফিসের সামনে। নিজস্ব চিত্র

সিমলাপাল ব্লক অফিসের সামনে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিমলাপাল শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৩৩
Share: Save:

বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই জেলা জুড়ে। শুক্রবারই পুরুলিয়ার কাশীপুরে আক্রান্ত হয়েছেন দলের প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া। বাঁকুড়া ২ ব্লকে মনোনয়নপত্র জমা করতে গিয়ে এ দিনও তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রতীপ মুখোপাধ্যায়ের। একই দিনে সিমলাপালের সিপিএম নেতৃত্ব দাবি করেছেন, শাসকদলের লোকজনের বাধার সামনে রুখে দাঁড়িয়ে মনোনয়ন জমা করেছেন তাঁরা। তবে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, কোনও বাধাই দেওয়া হয়নি। ফলে প্রতিরোধের প্রশ্নই ওঠে না।

সিপিএমের সিমলাপাল এরিয়া কমিটির সম্পাদক তথা দলের জেলা কমিটির সদস্য সুবীর পাত্র জানান, এ দিন মনোনয়নপত্র জামা করাতে জনা পঁয়ষট্টি প্রার্থীকে নিয়ে দলের প্রায় পাঁচশো কর্মী সমর্থক ব্লক দফতরে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, দফতরের সামনে লাঠি হাতে তৃণমূলের জনা পঁচিশ লোক তাঁদের আটকে দেন। ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় দলের এরিয়া কমিটির সদস্য আবদুল রেজ্জাক খানকে। উত্তেজিত হয়ে পড়েন সিপিএমের কর্মী সমর্থকেরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ দু’পক্ষের মাঝে এসে দাঁড়ায়। সুবীরবাবু বলেন, ‘‘আমরা পুলিশকে বলে দিই, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারা পর্যন্ত সরব না।’’ তাঁর দাবি, এর পরেই তৃণমূলের লোকজন সরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে দলে ভারী হয়ে আবার ফিরে আসে। সুবীরবাবু বলেন, ‘‘আমাদের প্ররোচিত করা হচ্ছিল। কিন্তু তাতে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে মনোনয়নপত্র জমা করে ফিরে আসা হয়েছে।’’

রাজনৈতিক সহিষ্ণুতার নজির সিমলাপালে রয়েছে। সেখানে সিপিএম এবং তৃণমূলের নেতাদের একসঙ্গে বসে গল্প করতে, একই মোটরবাইকে চড়ে ঘুরতে দেখা যায়। সুবীরবাবু বলেন, ‘‘সিমলাপালের নিজস্ব রাজনৈতিক সংস্কৃতি ছিল। আগেও ভোট হয়েছে। কখনও এই ধরনের পরিস্থিতি হয়নি। এটা তৃণমূলের জন্য হচ্ছে।’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমিয় পাত্র বলেন, ‘‘তৃণমূলের অত্যাচার দেখে সাধারণ মানুষ হতাশ। পুলিশ এবং প্রশাসনের প্রতিও সবার বিশ্বাস চলে গিয়েছে। তাই এ বার বাধ্য হয়ে মানুষ প্রতিরোধে নামছেন। সিমলাপালের এই ঘটনা তারই উদাহরণ।’’

যদিও সিপিএমের দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছেন তৃণমূলের সিমলাপাল ব্লক সভাপতি সনৎ দাস। তিনি বলেন, ‘‘সিমলাপালের একটি নিজস্ব রাজনৈতিক সংস্কৃতি রয়েছে। মনোনয়নে বাধা দেওয়ার মতো ঘটনা এই ব্লকে কোনও দিন ঘটেনি। প্রতিরোধের মিথ্যা গল্প চাউর করে সিপিএম প্রচারে আসতে চাইছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE