Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Kankalitala lunch

১ টাকায় পেট ভরে দুপুরের খাবার! সাধুসন্ত, গরিব মানুষের জন্য ব্যবস্থা কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের

অন্যতম সতীপীঠ কঙ্কালীতলায় বহু মানুষের সমাগম হয়। সাধুসন্ত এবং গরিব মানুষ যাতে অন্তত এক বেলা পেট ভরে খেতে পারেন, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে ১ টাকার বিনিময়ে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা।

কঙ্কালীতলায় ১ টাকায় দুপুরের খাওয়া।

কঙ্কালীতলায় ১ টাকায় দুপুরের খাওয়া। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫৬
Share: Save:

মাত্র ১ টাকায় দুপুরের ভরপেট খাওয়া। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। এ বার সাধুসন্ত, ভবঘুরে দুঃস্থ মানুষের কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন মিলবে দুপুরের খাবার। সাত দিনের খাবারের তালিকা আলাদা আলাদা। পাতে ভাত, ডাল, সবজি, চাটনি তো থাকবেই সঙ্গে মাছ, মাংস, ডিমও থাকবে রুটিন করে। অভিনব উদ্যোগ বীরভূমের কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের।

৫১ সতীপীঠের অন্যতম বীরভূমের কঙ্কালীতলা। বহু মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে। তার মধ্যে বহু মানুষ এমনও আছেন যাঁদের দু’বেলা পেট ভরে খাবারটুকুও জোটে না। এ বার সেই সমস্যা থেকে মুক্তি। ১ টাকার বিনিময়ে গরিব মানুষের পাত পড়বে কঙ্কালীতলায়। মন্দির সংলগ্ন জায়গায় টিনের শেড তৈরি করে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাঞ্চিদেশ মন্দির কমিটিও তাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার, কঙ্কালীতলা মন্দিরের সেবাইত, সাধুসন্ত, কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা খাবারের ব্যবস্থাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন হওয়ার পর এলাকার পাঁচ শতাধিক মানুষ মধ্যাহ্নভোজ সারেন। কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ ওহিউদ্দিন বলেন, ‘‘কঙ্কালীতলা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় সাধুসন্ত, ভবঘুরে, দুঃস্থ মানুষেরা রয়েছেন। তাঁদের কথা চিন্তা করেই এ বার থেকে মাত্র ১ টাকায় মিলবে দুপুরের ভরপেট খাবার। অনাহারে থাকা মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে এগিয়ে এসেছেন এলাকার মানুষজনও।’’

আর ১ টাকায় ভরপেট খাবার পেয়ে খুশি মানুষ। মানবিক দৃষ্টান্তমূলক কাজকে প্রশংসনীয় দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও দূরদূরান্তের পর্যটকেরা। সাধুসন্তদের একাংশের দাবি, ‘‘দূরদূরান্ত থেকে সাধুসন্তরা এখানে এসে উপস্থিত হন। অনেক সময় তারা পেট পুরে খেতেও পান না। মাত্র ১ টাকায় মিলছে স্বাস্থ্যসম্মত, পরিচ্ছন্ন খাবার। যার ফলে সাধুসন্তরা ছাড়াও উপকৃত হবেন গরিব সাধারণ মানুষ৷’’ ভবঘুরে শঙ্করী, শ্যামল রুইদাসদের দাবি, ‘‘ক্ষুধার্ত মানুষের কষ্টের যেমন মুক্তি মিলবে, পাশাপাশি অপুষ্টিজনিত সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন দরিদ্র মানুষ।’’

পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, গরিব মানুষকে ভরপেট খাওয়ানোর কাজটি পরিচালনা করতে কোনও রকম সরকারি অনুদান নেওয়া হবে না। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন সাধারণ মানুষই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lunch Gram Panchayat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE