Advertisement
২০ মে ২০২৪
বিস্তারককে মারধরের জের

‘কবে ধরবেন’,থানায় গিয়ে ক্ষোভ লকেটের

এ দিন সাড়ে তিনটে নাগাদ থানায় পৌঁছন লকেট। সে সময় ওসি নীলোৎপল মিশ্র থানায় ছিলেন না। সে কথা জানিয়ে ডিউটি অফিসার সঞ্জয় ঘোষ লকেটকে নিজের ঘরে আসার অনুরোধ করেন।

বচসা: থানায় ডিউটি অফিসারের সামনে লকেট। নিজস্ব চিত্র

বচসা: থানায় ডিউটি অফিসারের সামনে লকেট। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ময়ূরেশ্বর শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৭ ০২:২৭
Share: Save:

‘বিস্তারক’ কর্মসূচির প্রথম দিন থেকেই লাভপুর, বোলপুর-সহ জেলার নানা প্রান্তে শাসকদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা, মারধরের অভিযোগ করছে বিজেপি।

রবিবারই ময়ূরেশ্বরের তেঁতুলডিহি গ্রামে প্রচারে যাওয়া স্বপন গড়াই নামে এক বিস্তারককে মেরে হাত ভেঙে দেওয়া হয় বলে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি। ঘটনায় চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও জানায় বিজেপি। তারপরেও কেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হল না, তা জানতে সোমবার সটান ময়ূরেশ্বর থানায় হাজির হন বিজেপির রাজ্যনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সে নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিউটি অফিসারের সঙ্গে লকেটের একপ্রস্ত বচসাও হয়।

এ দিন সাড়ে তিনটে নাগাদ থানায় পৌঁছন লকেট। সে সময় ওসি নীলোৎপল মিশ্র থানায় ছিলেন না। সে কথা জানিয়ে ডিউটি অফিসার সঞ্জয় ঘোষ লকেটকে নিজের ঘরে আসার অনুরোধ করেন। লকেট শুরুতেই জানতে চান, আগে জানানো সত্বেও ওসি কেন থানায় নেই? ডিউটি অফিসার বলেন, ‘‘উনি জরুরি কাজে বেরিয়েছেন। কী জানতে চান বলুন। যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’’

তখনই লকেট বিস্তারককে মারধরের প্রসঙ্গ তোলেন। লকেটের কথায়, ‘‘একের পর এক জায়গায় বিস্তারককে মারধর করা হচ্ছে। আপনারা কী করছেন? অভিযোগ জানানোর পরেও গ্রেফতার করছেন না কেন?’’ ডিউটি অফিসার দাবি করেন, অভিযোগে ত্রুটি থাকাতেই গ্রেফতার করা যায়নি। লকেট বলেন, ‘‘এফআইআর যখন লেখা হয় দেখে নিলেন না কেন? তা ছাড়া অভিযোগ অস্ত্র নিয়ে হামলার মতো প্রসঙ্গ লিখলে আপনারাই তো কেটে দিতে বলেন।’’

ডিউটি অফিসার জানান, সুপ্রিম কোর্টের নিয়মে সাত বছরের নীচে সাজা হবে, এমন কোনও অভিযোগে কাউকে শুরুতেই গ্রেফতার করা যায় না। আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। তা শুনে লকেটের কটাক্ষ, ‘‘এটা কি সব ক্ষেত্রেই হয়? না কি শুধু বিজেপির বেলায়।’’

তখন ডিউটি অফিসার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি বুঝে নেওয়ার কথা বলতেই মেজাজ হারান লকেট। বলে বসেন, ‘‘আমাকে আইন শেখাবেন না। ওটা আমি ভালই জানি।’’

থানা থেকে লকেট তেঁতুলডিহি গ্রামের প্রচারেও যান। সঙ্গে ছিলেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য অর্জুন সাহা, উৎপল রুজ-সহ জেলা এবং ব্লক নেতৃত্ব। লকেটের কথায়, ‘‘তৃণমূল রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে না পেরেই বিস্তারকদের মারধর করছে। অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর ফল ভুগবে তৃণমূল।’’

জবাবদিহি চাইতে আজ, মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছেন লকেট।

মারধরের অভিযোগ এ দিনও উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি নারায়ণ প্রসাদ চন্দ্রের কটাক্ষ, ‘‘সস্তায় প্রচার পেতে বিজেপি নাটক শুরু করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE