প্রতীকী ছবি।
দলের হুইপ অমান্য করে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে যে সমস্ত নির্বাচিত সদস্যেরা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের শো-কজের চিঠি পাঠাচ্ছে বিজেপি।
সোমবার এ কথা জানিয়েছেন জেলা বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘এমন ঘটনা ঘটেছে ঝালদা ১ ও ঝালদা ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে। পাশাপাশি জয়পুরের একটি গ্রাম পঞ্চায়েতেও। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছিলেন। মানুষের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাদের কয়েকজন নির্বাচিত সদস্য তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার ঘটনা তাঁরা মেনে নেবেন না।’’
ঝালদা ১, ঝালদা ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির সমর্থন নিয়ে কুর্সিতে বসেছে তৃণমূল। ঝালদা ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ২২টি আসন। ভোটে তৃণমূল ৫টি, বিজেপি ৭টি, সিপিএম ২টি আর কংগ্রেস ৮টি পেয়েছিল। গত সপ্তাহে বোর্ড গঠন হয়েছে। সভাপতি পদে তৃণমূল আর কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের প্রার্থী পেয়েছেন ১৪টি ভোট। কংগ্রেস প্রার্থী ৮টি ভোট। হিসেব বলছে, বিজেপির ৭ জনই তৃণমূলের প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন।
ঝালদা ১-এর আগের দিন ঝালদা ২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড হয়েছে। সেখানে বিজেপির তিন সদস্যের মধ্যে এক জন তৃণমূলের প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন। ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ২৪টি আসন। তৃণমূল ৫টি, বিজেপি ৩টি, সিপিএম ৪টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ১টি আর কংগ্রেস ১১টি পেয়েছিল। বোর্ড গঠনের আগে কংগ্রেসের এক সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। বোর্ড গঠনের দিন বিজেপির দুই সদস্য কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। এক সদস্য তৃণমূলের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন। এই ঘটনার পরে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপির জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, দলের হুইপ অমান্য করে যাঁরা বোর্ড গঠনে তৃণমূলের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন তাঁদের সাত দিনের মধ্যে শো-কজের জবাব দিতে বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘সন্তোষজনক জবাব না পেলে দল ব্যবস্থা নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy