ডিগবাজি দিচ্ছেন বিধায়ক। এক-আধটা নয়, পর পর ডিগবাজি। তা-ও আবার শ’য়ে শ’য়ে দর্শকের সামনে। বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানার এই ডিগবাজির ভিডিয়োই সমাজমাধ্যমে ঝড় তুলেছে। তৃণমূলের কটাক্ষ, বিধায়ক ডিগবাজি দিতেই অভ্যস্ত। ভোট আসায় এখন মানুষের নজর কাড়তেই এমন কৌশল।
বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলায় নরেন্দ্র কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বিজেপি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল সেই প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচ। মুখোমুখি হয় বিজেপির তালড্যাংরা ৩ মণ্ডলের গুরুজি ফুটবল টিম ও বিজেপির বাঁকুড়া ২ নম্বর মণ্ডলের লেশরা ফুটবল কোচিং সেন্টার। বাঁকুড়ার নবজীবনপুর ফুটবল মাঠে আয়োজিত এই খেলায় উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর। খেলায় বাঁকুড়া ২ নম্বর মণ্ডলের কেশরা ফুটবল কোচিং সেন্টার ১-০ গোলে এগিয়ে খেলা শেষ করে। খেলা শেষে রেফারির বাঁশি পড়তেই বিজেপি বিধায়ক আর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। আনন্দে মাঠের মধ্যেই ডিগবাজি দিতে শুরু করেন।
নিলাদ্রীশেখর বলেন, ‘‘আমি বরাবরই খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশও নিয়েছি। সেই সূত্রে রেল ও ইস্টার্ন কোলফিল্ডসে চাকরিও পেয়েছিলাম। কিন্তু সংগঠনের কাজ করার তাগিদে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম। তাই সে দিন আমার দলকে জিততে দেখে আর আবেগ ধরে রাখতে পারিনি।’’
তৃণমূল অবশ্য বিধায়কের এমন কীর্তিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বাঁকুড়ার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, ‘‘বিধায়ককে গত সাড়ে চার বছর বাঁকুড়ার মানুষ দেখতে পাননি। এলাকার কোনও উন্নয়নের কাজ উনি করেননি। তাই এখন উনি কখনও মাঠে ডিগবাজি খাচ্ছেন, আবার কখনও মাঠে চাষ করার নাটক করে মানুষের নজর টানার চেষ্টা করছেন। ভোট যত এগিয়ে আসবে, বিধায়কের এই প্রবণতা আরও বাড়বে। এতে কোনও লাভ হবে না।’’