—প্রতীকী চিত্র।
১৩ আসনের পঞ্চায়েতে তাদের দখলে ৭টি আসন। পঞ্চায়েতের দলগত অবস্থান তৃণমূল ৩, সিপিএম ৩। ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কংগ্রেস, সিপিএম এবং শাসক দল তৃণমূল প্রার্থীদের হারিয়ে রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির কাষ্ঠগড়া পঞ্চায়েত এই প্রথম দখল করতে চলেছে বিজেপি। তবে বোর্ড গঠনের আগে দলের জয়ী সদস্যদের গোপন ডেরায় রাখা হবে বলে দাবি বিজেপির।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফল ঘোষণায় কাষ্ঠগড়া পঞ্চায়েতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে বিজেপি উঠে আসার পরেই দলের জয়ী প্রার্থীদের দলের জেলা কার্যালয় সিউড়িতে কিছুদিন রেখে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে আবার জয়ী প্রার্থীরা নিজেদের সংসদে বা গ্রামে ফিরে আসেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বোর্ড গঠনের দু’দিন আগে জয়ী সদস্যদের এক জায়গায় আবারও গোপন ডেরায় রেখে দেওয়া হবে।
দলের বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘কাষ্ঠগড়া পঞ্চায়েতে সিপিএম এবং তৃণমূল সদস্যরা মিলিত ভাবে বোর্ড গঠনের চেষ্টা করলেও পারবে না। তবুও তৃণমূলকে বিশ্বাস নেই। দল ভাঙানোই ওদের মূল অস্ত্র। তাই ঝুঁকি নিতে চাই না।’’ কাষ্ঠগড়া পঞ্চায়েতে প্রধান পদ মহিলা সংরক্ষিত। বিজেপির কে প্রধান হচ্ছেন সে ব্যাপারে ধ্রুব সাহা এখনই কিছু জানাতে চাননি।
কাষ্ঠগড়া পঞ্চায়েত এ বারে যে হাতছাড়া হবে তা আগেই বুঝতে পারা গিয়েছিল বলে দাবি তৃণমূল সূত্রে। তৃণমূল কর্মীদের একাংশের দাবি, জনসংযোগের অভাব ছিল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও তৃণমূলের পঞ্চায়েত হাতছাড়া হওয়ার বড় কারণ বলে এলাকার তৃণমূল নেতাদের দাবি।দলের অঞ্চল সভাপতি সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘‘মানুষের রায় আমরা মেনে নিয়েছি। আমরা বিরোধী থেকে ওরা কেমন পঞ্চায়েতে উন্নয়ন করে সেটা দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy