এখানেই মেলে দেহ। নিজস্ব চিত্র
নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার হল বৃহস্পতিবার সকালে বান্দোয়ানের একটি জলাশয় থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কমলাকান্ত মাহাতো (৪৩)। বাড়ি বান্দোয়ান থানার মধুপুর গ্রামে। বুধবার দুপুর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ দিন বরাবাজার যাওয়ার বাইপাস থেকে কিছুটা দূরে, বান্দোয়ান ব্লক সদরের একটি স্কুলের কাছের জলাশয় থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কমলাকান্ত বান্দোয়ানের কুচিয়া রোড সংলগ্ন একটি প্যাথলজি সেন্টার চালাতেন। প্রতিদিন দুপুরে বাড়ি ফিরে খাওয়াদাওয়া করতেন। বুধবার সকালে ছেলেকে স্কুল থেকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আবার মোটরবাইক নিয়ে বান্দোয়ানের দিকে বেরিয়ে যান। আর ফেরেননি। দুপুরের পর থেকে ফোনও ছিল বন্ধ। সন্ধ্যায় আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরিজনেরা জানান, রাতেই খবর দেওয়া হয়েছিল বান্দোয়ান থানায়। বান্দোয়ানের বোম্বেচক এলাকায় রাতে কমলাকান্তের মোটরবাইক দেখতে পান পরিজনেরা। কিন্তু তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি রাতভর। বৃহস্পতিবার সকালে দেহ উদ্ধার হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, হাতে-মুখে জল দিতে গিয়ে জলাশয়ে পড়ে গিয়ে থাকতে পারেন কমলাকান্ত। বান্দোয়ান থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, আশপাশের ‘সিসিটিভি’ (ক্লোজ়ড সার্কিট) -র ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে মৃতের ভাই মনোরঞ্জন মাহাতো এ দিন বলেন, ‘‘গোটা ঘটনা সন্দেহজনক লাগছে। ওর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। তা ছাড়া, মোটরবাইক ছাড়া এক পা-ও চলত না দাদা। আমাদের অনুমান, খুন করে জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy