Advertisement
E-Paper

টুকরো খবর

পাঁচ লিটার ডিজেল কিনলে দেড় লিটার কম দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে একটি পেট্রোল পাম্পে বিক্ষোভ দেখিয়ে ভাঙচুর চালালেন কিছু গাড়ির চালক। পরে তাঁরা ওই জায়গাটিও দড়ি বেঁধে দেন। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে বিষ্ণুপুর শহরের লাইট হাউস মোড়ে। ভয় পেয়ে পাম্প ছেড়ে পালান কর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ এলে বিক্ষোভকারীরা চম্পট দেন। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, ভাঙা কাচ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৪ ০০:১৯

তেল কম দেওয়ার অভিযোগে ভাঙচুর

নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর

বিষ্ণুপুরে পেট্রোল পাম্পে ভাঙচুরের পরে। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

পাঁচ লিটার ডিজেল কিনলে দেড় লিটার কম দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে একটি পেট্রোল পাম্পে বিক্ষোভ দেখিয়ে ভাঙচুর চালালেন কিছু গাড়ির চালক। পরে তাঁরা ওই জায়গাটিও দড়ি বেঁধে দেন। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে বিষ্ণুপুর শহরের লাইট হাউস মোড়ে। ভয় পেয়ে পাম্প ছেড়ে পালান কর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ এলে বিক্ষোভকারীরা চম্পট দেন। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, ভাঙা কাচ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। আইসি (বিষ্ণুপুর) স্বপন দত্ত পেট্রোল নেওয়ার জায়গাটি দড়ি খুলে তেলের মাপ নিয়ে দেখেন কোনও গোলমাল আছে কি না। কিন্তু কোনও গোলমাল পাননি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পেট্রল দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু ডিজেল দেওয়া বন্ধ থাকে। ফলে ফিরে যেতে থাকেন বহু গাড়ির চালক। একটি ট্রাক্টরের মালিক জাকির হাজরা বলেন, “এখানে কী হয়েছে জানি না। এসে দেখি ডিজেল দেওয়া বন্ধ। সমস্যায় পড়েছি।” মেদিনীপুর থেকে লরি নিয়ে বাঁকুড়া যাচ্ছিলেন সুদীপ সাহু। বললেন, “এই পথে গেলে এখান থেকেই তেল নিই। বন্ধের কারণ কী বুঝতে পারছি না। দেখি সামনে কোথাও পাই কি না।” বহু চালকই একই রকম ভাবে ফিরে যাচ্ছেন। আইসি বলেন, “ডিজেলের পরিমাপ নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। পেট্রোল নিয়ে তো কিছু হয়নি। আমি মাপ নিয়েও দেখলাম ঠিক আছে। তাই খুলে দেওয়া হল। ডিজেল নিয়ে ক্ষোভের বিষয়টি আই ও সি-র আধিকারিকরা দেখবেন।” কর্মীরা অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। ফোনে যোগাযোগ করা হলে পাম্পের কর্তা অশোক জালান বলেন, “আমি বাইরে রয়েছি। কী হয়েছে বিস্তারিত না জেনে কিছু বলতে পারব না।”

দাদার দেহ, বেহুঁশ বোন

বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার দাদার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া গেল তাঁর বোনকে। বাঁকুড়া শহরের দোলতলার ঘটনা। মৃত শ্যামল কর্মকার (৪৮) পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, দোলতলার বাড়িতে বোন ও দৃষ্টিহীন বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে থাকতেন শ্যামলবাবু। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে পড়শিদের সন্দেহ হয়। কয়েক জন পাঁচিলর ডিঙিয়ে বাড়িতে ঢুকে শ্যামলবাবুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ শ্যামলবাবুর দেহ উদ্ধার করে। তাঁর বোনকে অচৈতন্য অবস্থায় বাঁকুড়া মেডিক্যালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘুমের ওষুধ খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে চিকিৎসায় তিনি সাড়া দিচ্ছেন। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, শ্যামলবাবু মা-বাবার পেনশন পেতেন। নিজেও ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর দুই দাদা বাড়ির বাইরে থাকায় অবিবাহিত বোন ও মায়ের দেখাশোনা করার দায়িত্ব তাঁর উপরেই ছিল। শ্যামলবাবুর খুড়তুতো ভাই উদয়নাথ কর্মকার বলেন, “ঠিক কী কারণে শ্যামল এমন করল, বুঝতে পারছি না। ওদের সংসারে যে খুব একটা অভাব ছিল তা-ও নয়। তবে মাকে নিয়ে প্রায়ই চিন্তায় থাকত।” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অবসাদে শ্যামলবাবু আত্মঘাতী হয়েছেন।

স্কুলে পাখা দিল ব্যাঙ্ক

একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ৮৯তম প্রতিষ্ঠা দিবসে বীরভূম জেলার ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে দুটি করে বৈদ্যুতিন পাখা উপহার দিল ওই ব্যাঙ্কের বীরভূম জেলার তিনটি শাখা। ব্যাঙ্কের নলহাটি থানার শীতলগ্রাম শাখার প্রবন্ধক রাজেশ্বর মুরাও বলেন, “ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠা দিবসে সারা ভারত জুড়ে নানা সামাজিক উন্নয়ন মূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসাবে ব্যাঙ্কের শীতল গ্রাম শাখা থেকে শীতলগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বারূণীঘাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৈদ্যুতিন পাখা দেওয়া হয়েছে।” ব্যাঙ্কের মুরারই শাখা এবং ওই থানার কনকপুর শাখা যৌথ ভাবে কনকপুর হাইস্কুল এবং কনকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দু’টি করে বৈদ্যুতিন পাখা দেওয়া হয়েছে।

জয়ী রাইপুর

তপন শিকদার স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় লিগ কাম নক আউট ম্যাচে সোমবার চক রাইপুর আদিবাসী ক্লাব টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে হারাল কাষ্টগড়া ধানগড়া আদিবাসী ক্লাবকে। রবিবারের খেলায় কীর্ণাহার আদিবাসী ক্লাব লিগ পর্যায়ের খেলায় ১-০ গোলে মদিয়ান আদিবাসী ক্লাবকে পরাজিত করে। এ দিকে, মঙ্গলবার লিগ পর্যায়ের আরও একটি খেলায় যোগ দেবে করবে চাঁদনি আদিবাসী ক্লাব এবং ধানগড়া আদিবাসী ক্লাব।

স্মৃতি ফুটবল

নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর

রঘুনাথপুর ২ ব্লকের মৌতোড় গ্রামে রবিবার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ হয়। চাঙ্গুড়ি যুব সঙ্ঘকে ১-০ গোলে হারিয়ে জয়ী হয় তরুণ সঙ্ঘ। যোগ দিয়েছিল এলাকার আটটি দল। উদ্যোক্তা স্থানীয় তরুণ সঙ্ঘ। মৌতোড় এলাকার চার বাসিন্দার অকাল মৃত্যুতে তাঁদের স্মৃতিতে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ভিন্ রাজ্যের এক যুবকের। সোমবার ভোরে সদাইপুর থানার বাঁধেরশোলের কাছে, জাতীয় সড়কের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত অসীম রায়ের (২৬) বাড়ি সিকিমের গ্যাংটকে। রাস্তা পরাপার করার সময় ভারী গাড়ির ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়।

puru tukro brief story
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy