Advertisement
E-Paper

টুকরো খবর

আবার রাস্তার উপর পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বধূর। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তাঁর স্বামী। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বাঘমুণ্ডি থানার হুড়ুমদা গ্রামের অদূরে। মৃত বধূর নাম রঙ্গবতী কুমার (৪০)। তাঁর বাড়ি ওই হুড়ুমদা গ্রামেই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যায় মাঠ থেকে টম্যাটো তুলে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন রঙ্গবতী ও তাঁর স্বামী প্রদীপ কুমার। চারপাশ তখন অন্ধকার।

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০৫

বিদ্যুতের তারে পা, মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঘমুণ্ডি

আবার রাস্তার উপর পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বধূর। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তাঁর স্বামী। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বাঘমুণ্ডি থানার হুড়ুমদা গ্রামের অদূরে। মৃত বধূর নাম রঙ্গবতী কুমার (৪০)। তাঁর বাড়ি ওই হুড়ুমদা গ্রামেই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যায় মাঠ থেকে টম্যাটো তুলে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন রঙ্গবতী ও তাঁর স্বামী প্রদীপ কুমার। চারপাশ তখন অন্ধকার। গ্রামের রাস্তার উপর সেই সময় খুঁটি থেকে ছিঁড়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার আড়াআড়ি ভাবে পড়েছিল। কিন্তু অন্ধকারে ওই দম্পতি তা দেখতে পাননি। সামনে ছিলেন রঙ্গবতী। তাঁর পা বিদ্যুতের তারে পড়তেই আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে। স্ত্রীকে বিদ্যুৎস্পৃৃষ্ট হতে দেখে দৌড়ে গিয়ে বাঁচাতে যান প্রদীপ। তিনিও ঝলসে যান। গ্রামবাসী তাঁদের চিৎকার শুনে দৌড়ে আসেন। উদ্ধার করার পর দেখা যায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। প্রদীপকে জামসেদপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি লিমিটেডের সুপারিন্টেডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার অশোক দলুই বলেন, “রাস্তায় কোনও ভাবে বিদ্যুতের তার পড়ে গিয়েই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তদন্ত করা হবে।” গত ২৪ অক্টোবর মানবাজারের গোপালনগরেও একই ভাবে রাস্তায় পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে ঝলসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল মোটরবাইক আরোহী দুই ভাইয়ের।

আলোর দাবি সিউড়িতে

নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি

বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে, এই যুক্তিতে সিউড়ি স্টেশন সংযোগকারী রাস্তায় পথবাতি জ্বালানো বন্ধ করে দিয়েছে রেল। অভিযোগ, তার পর থেকেই ওই এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম এবং চুরি-ছিনতাই বেড়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তারই প্রতিবাদে সিউড়ির ব্যবসায়ী সমিতি ও এলাকাবাসী স্টেশন ম্যানেজারকে স্মারকলিপি জমা দিলেন। পাশাপাশি পথবাতি ফের চালু করার দাবিতে তাঁরা ডাকযোগে পূর্ব রেলের ডিআরএম (আসানসোল ডিভিশন) এবং জেলাশাসকের কাছে আবেদনও পাঠিয়েছেন। সিউড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কিষান পাল, স্থানীয় মৃণাল দাস, মলয় পালরা বলেন, “পূর্বরেলের অন্ডাল-সাঁইথিয়া শাখায় থাকা সিউড়ি একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন। রাতে বেশ কয়েকটি ট্রেন রয়েছে। অনেকেই সেই ট্রেনে যাতায়াত করেন। কিন্তু বেশ কিছু দিন আগে রেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্টেশন সংযোগকারী প্রায় দু’শো মিটার রাস্তায় পথবাতি জ্বলানো বন্ধ করে দিয়েছে রেল। তাদের অজুহাত বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে।” তাঁদের অভিযোগ, এর ফলেই অন্ধকারের সুযোগে শহরের এক প্রান্তে থাকা স্টেশন থেকে রাতে বাড়ি ফেরার রাস্তায় প্রায় চুরি-ছিনতাই হচ্ছে। বেড়েছে অসামাজিক কাজও। বর্তমানে সিউড়ি থেকে কলকাতাগামী বাস তুলনায় অনেক কমে গিয়েছে। বাসের ভাড়াও অনেক বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা যাতায়াত করতে ব্যবসায়ীদের ট্রেনেই যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। কিন্তু রাস্তায় আলোর অভাবে তাঁরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ দিন সিউড়ির স্টেশন ম্যানেজার নজরুল ইসলাম অবশ্য ফের ওই রাস্তায় পথবাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

‘উত্ত্যক্ত’ করায় যুবককে মার

নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর

অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে এক যুবককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিলে স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার সকালে ময়ূরেশ্বর থানার মল্লারপুরের হাটতলা এলাকার ঘটনা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ময়ূরেশ্বর থানার কুমাড্ডা গ্রামের ঘটনা। অভিযুক্ত যুবকের মল্লারপুর হাটতলায় একটি মোবাইলের দোকান আছে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে ওই যুবক কিশোরীকে নানা রকম ভাবে উত্ত্যক্ত করত। বাড়িতে কিছু বললে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল। মঙ্গলবার স্কুল যাওয়ার পথে তাকে ফের উত্ত্যক্ত করায় কিশোরীটি বাড়িতে বলে দেয়। এ দিন পরিবারের লোকজন ওই যুবকের দোকানে যায় এবং এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এসডিপিও (রামপুরহাট) কোটেশ্বর রাও বলেন, “যুবকটিকে এলাকার বাসিন্দারা ঘিরে রেখেছিলেন। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে আনে। আপাতত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে রাখা হয়েছে। অভিযোগ পেলে গ্রেফতার করা হবে।”

brief story puru tukro
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy