প্রতিবাদ তৃণমূলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর
ডিভিসি-র নির্মীয়মাণ তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প কোনও অবস্থাতেই বেসরকারি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না বলে দাবি উঠল তৃণমূলের যুব সংগঠনের সভায়। আগামী ২ ডিসেম্বর পুরুলিয়া শহরে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করার কথা। তারই প্রস্তুতি সভা সোমবার হয়েছে রঘুনাথপুর শহরে পঞ্চায়েত সমিতির কমিউনিটি হলে। উপস্থিত ছিলেন রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি, যুব তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত মাহাতো, সংগঠনের জেলা সভাপতি গৌতম রায়। সভার মাঝামাঝি বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগঠনের পুরুলিয়ার কার্যকরী সভাপতি প্রণব দেওঘরিয়া বলেন, “ডিভিসির নির্মীয়মাণ বিদ্যুৎকেন্দ্রে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বিভিন্ন উপায়ে প্রকল্পকে ঘিরে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে, এই প্রকল্প মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া বা বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার অপচেষ্টা রুখতে আমরা সংগঠনগত ভাবে মাঠে নামব। বিষয়টি আগামী সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও তোলা হবে।” পরে বিধায়কও এই বিষয়ে ডিভিসি-র প্রকল্প এলাকায় যুব তৃণমূলের উদ্যোগে বিক্ষোভ-অবস্থানের মতো কর্মসূচি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
কলেজে কম্পিউটার
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আর্থিক সাহায্যে ওন্দা মহাবিদ্যালয়কে কম্পিউটার দিল জেলা প্রশাসন। এই উপলক্ষে শনিবার ওন্দা মহাবিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক বিজয় ভারতী, বাঁকুড়া সদর মহকুমাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, ওন্দার বিডিও শুভঙ্কর ভট্টাচার্য। কলেজের টিচার-ইন-চার্জ চৈতালি মান্ডি বলেন, “আমরা কলেজের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে কম্পিউটার চেয়েছিলাম। আমাদের হাতে একটি কম্পিউটার তুলে দিয়েছেন জেলাশাসক। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগে আমরা খুশি।” ওন্দা মহাবিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।
নাবালিকার বিয়ে রুখলেন বিডিও
নবম শ্রেণিতে পড়া এক নাবালিকার বিয়ে আটকালেন বিডিও। পুরুলিয়ার মানবাজার থানা এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রথম দফার টাকাও তুলেছে। সোমবার সকালে মানবাজারের বিডিও সায়ক দেবের কাছে নাবালিকা বিয়ের খবর আসে। বিডিও বলেন, “পুঞ্চা থানা এলাকার একটি শিবমন্দিরে এক নাবালিকার বিয়ের প্রস্তুতি চলছে বলে খবর পাই। ছেলে ও মেয়ে দু’জনেই পুঞ্চা থানা এলাকার বাসিন্দা। পরে ওদের বিয়ে আটকানো হয়েছে। দু’পক্ষই মেয়ের বিয়ের বয়স হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে মুচলেকা দিয়েছেন।”
পুকুরে মিলল দেহ
পুকুরের জল থেকে সোমবার এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বছর ৩৫-এর ওই যুবতীকে এ দিন মুর্শিদাবাদ ও বর্ধামান সীমান্ত লাগোয়া লাভপুরের মারুট সংলগ্ন পুকুরের জলে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। মৃতার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না পেলে কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সিউড়ির রাস্তার ধারে উলের পসরা। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়