Advertisement
E-Paper

বিএসএনএলের তার চুরি

মাস দেড়েক আগে সিউড়ি শহরে তিলপাড়া মোড় থেকে সার্কিট হাউস পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৩৪
লুঠ: সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র

লুঠ: সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র

পানীয় জলের পাইপ বসানোর কাজ করতে গিয়ে যন্ত্রের খোঁচায় কেটে যাচ্ছে মাটির নীচে থাকা বিএসএনএল-এর ‘অপটিক্যাল ফাইবার’। সুযোগ বুঝে সেই তার চুরি করে নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা— এমনই অভিযোগ উঠেছে সিউড়ি শহরে।

মাস দেড়েক আগে সিউড়ি শহরে তিলপাড়া মোড় থেকে সার্কিট হাউস পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি বসানো হচ্ছে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের পাইপ লাইনও। অভিযোগ, সেই কাজ করতে গিয়ে মাটি-কাটার যন্ত্রের খোঁচায় ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে বিএসএনএল-এর কেবল। তারের মধ্যে থাকা তামার লোভে কয়েক দিন ধরে লালকুঠিপাড়া মোড়ে সেই তার চুরি করছে দুষ্কৃতীরা।

এ কথা স্বীকার করেছেন উপ-পুরপ্রধান বিদ্যাসাগর সাউ। তিনি বলেন, ‘‘তার চুরি রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’’

প্রশাসন ও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ির তিলপাড়া থেকে সার্কিট হাউস, জেলা প্রশাসন ভবন, বাসস্ট্যাণ্ড হয়ে হাটজনবাজর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য উদ্যোগী হয় জেলা প্রশাসন। সে জন্য প্রায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কাজ করছে পূর্ত দফতর। অক্টোবরের শেষে রাস্তার দু’পাশে থাকা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় সিউড়িতে। ওই কাজে পূর্ত দফতরের সঙ্গে রয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর, বিদ্যুৎ দফতর ও বিএসএনএল-ও। ওই সব সংস্থা রাস্তার নীচে বিভিন্ন পাইপলাইন বসাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাইপ লাইন বসাতে মাটি কাটতে গিয়ে ছিঁড়ছে তার। তা-ই চুরি করা হচ্ছে।

বিএসএনএল-এর এজিএম (ট্রান্সমিশন) সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই ছেঁড়া তার আমাদের কোনও কাজে লাগবে না। তবে ওই তার সরিয়ে নিচ্ছি। কোথাও কোথাও তার চুরিও যাচ্ছে।’’

এই ক্ষতি কে পোষাবে? সুব্রতবাবুর বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে জেলা প্রশাসন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।

BSNL wire theft
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy