ঘটনাস্থল: উদ্ধারের চেষ্টা স্থানীয় বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র
বর্ধমান থেকে হেতিয়া যাওয়ার পথে বিষ্ণপুরের পানরডাঙর গ্রামের কাছে ধান জমিতে উল্টে গেল বাস। সোমবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর জখম অবস্থায় ১৫ জনকে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের মধ্যে সাকিব মিদ্যা (১৪) পাণ্ডুয়ার কিশোরকে গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার পিজি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জামকুড়ি গ্রামের শুভ সিং (৮) এবং প্রদ্যোত মাঝিকে (৩৫) বাকুড়া মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানান বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের সুপার পৃথ্বীশ আকুলি। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, যাত্রীবাহী বাসটি রাস্তার ধারে ধান জমিতে উল্টে পড়ে রয়েছে। পানরডাঙর গ্রামের লক্ষ্মীকান্ত বাগ, ধনঞ্জয় দে, বাপ্পা ভুঁইরা শাবল আর রড দিয়ে বাসের কাচ ভেঙে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করছেন। হাত লাগিয়েছেন রাধানগর ফাঁড়ির পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী লক্ষ্মীকান্ত বাগ বলেন, ‘‘দুপুরে রাস্তার ধারে বটগাছ তলায় আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনে দেখি বাসটা ধান খেতে পড়ে আছে।’’ তাঁরা জানান, বাসে প্রায় ৩৫ জন যাত্রী ছিলেন। শিশু এবং মহিলাদের দ্রুত বাস থেকে বের করে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি ওই বাসের যাত্রী জামকুড়ি গ্রামের প্রৌঢ়া পারুল সিংহ বলেন, ‘‘নাতিকে নিয়ে বিষ্ণুপুরের পুজো দেখতে আসছিলাম। দুপুরে গরম হাওয়া দিচ্ছিল। রাস্তাও সুনসান ছিল। হঠাৎ উল্টে গেল বাসটা। তারপরে কিছু আর মনে নেই।’’
বিষ্ণুপুর থানার আইসি আস্তিক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সোমবার দুপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পানরডাঙর গ্রামের কাছে বাস উল্টে যায়। ড্রাইভার এবং খালাসি পলাতক। বাসটি থানায় আনা হয়েছে।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা সময় মতো উদ্ধার কাজ শুরু করেন বলেও এ দিন তিনি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy