ফাইল চিত্র।
শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রেণু সরকার খুনের ঘটনায় নিম্ন আদালতের রায়কে বহাল রেখে মূল অভিযুক্ত মঙ্গল সাহানিকে শুক্রবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে, ঘটনায় অন্য দুই অভিযুক্ত উজ্জ্বল তপাদার ও পিন্টু দাসকে এ দিন বেকসুর খালাস দিয়েছে হাই কোর্ট। আইনজীবীরা জানান, পিন্টুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগের প্রমাণ না পেলেও চুরির অভিযোগ থাকায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। কিন্তু ইতিমধ্যেই সেই সাজা খেটে নেওয়ায় পিন্টুকে খালাস করা হয়।
২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি শান্তিনিকেতনের বাগানপাড়ায়, নিজের বাড়ির দোতলায় খুন হয়েছিলেন কলকাতার মহাদেবী বিড়লা গার্লস স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা, ৭৮ বছরের রেণু সরকার। লোহার রড দিয়ে ওই বৃদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে নিহতের বাড়ি কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদার, দাগি দুষ্কৃতী হিসাবে এলাকায় পরিচিত মঙ্গল সাহানি এবং তার সঙ্গী পিন্টু দাস নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বোলপুর আদালতে মামলা চলাকালীনই বর্ধমান জেল থেকে কারারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালায় মঙ্গল। পরে চেন্নাইয়ে সিআইডি-র হাতে সে ধরা পড়ে। ২০১৪ সালে বোলপুর আদালত ওই তিন জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। পরে হাই কোর্ট থেকে প্রথমে উজ্জ্বল ও আরও পরে পিন্টু দাস জামিনে মুক্তি পেলেও মঙ্গলের জামিনের আবেদন বারবার খারিজ হয়। বর্তমানে সে জেল হেফাজতেই রয়েছে। এ দিন রেণু-খুনের মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে উঠে।
মঙ্গল ও পিন্টুর আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ বলেন, “দোষী সাজা পেয়েছে এবং নির্দোষদের এই মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছে আদলত।” উজ্জ্বলের আইনজীবী আমিনা কবির ও সৈয়দ শহিদুল আরেফিন বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই বলছিলাম, আমাদের মক্কেল এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। সেটি প্রমাণ হল। ডিভিশন বেঞ্চ মক্কেলকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।’’ পিন্টু দাসের দাবি, “আমাকে এই ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছিল। আজ এই মামলা থেকে খালাস করায় আমি আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy