এমনই অবস্থা এখন গাছটির। —নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতীর পাঠভবন চত্বরের পুরনো ঘণ্টাতলা সংলগ্ন শতাব্দী প্রাচীন বটগাছটি নুইয়ে পড়ল বুধবার সকালে। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, সেই নিয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে না পারলেও বিশ্বভারতী উদ্যান বিভাগের প্রাথমিক ধারণা, বুধবার সকালের মৃদু ভূমিকম্প এবং গত দু'দিনের বৃষ্টিতেই শিকড়, ঝুরি আলগা হয়ে হেলে পড়েছে বটগাছটি। এতে ঐতিহ্যবাহী পুরনো ঘণ্টাতলার বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, "যতক্ষণ না বন দফতরের অনুমতি ও সাহায্য নিয়ে গাছটি সরানো যাচ্ছে, ততক্ষণ ক্ষয়ক্ষতির ধারণা পাওয়া সম্ভব নয়।"
এ দিন সকালে পরিস্থিতি দেখতে ঘটনাস্থলে যান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সহ অন্য আধিকারিকরাও। তবে, সংবাদমাধ্যমের প্রবেশের অনুমতি না থাকায় প্রকৃত পরিস্থিতি জানা যায়নি। এ দিকে, বট নুইয়ে পড়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আসতেই প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়া, অধ্যাপকরা নানা মধুর স্মৃতি নিয়ে লিখেছেন। সেখানে উঠে এসেছে পরিচর্যার অভাবের বিষয়টিও।
সাঁচির বৌদ্ধস্তূপের প্রবেশদ্বারের অনুকরণে তৈরি ঘণ্টাতলা ও সংলগ্ন বটগাছের নীচেই একসময় পালিত হত পয়লা বৈশাখে কবির জন্মদিবসের অনুষ্ঠান। এখনও বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পালিত হয় এখানেই। গাছটির ঠিক বয়স সম্পর্কে উদ্যান বিভাগ বা রবীন্দ্রভবনের তরফ থেকে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া না গেলেও গাছটি যে অন্তত শতবর্ষ অতিক্রম করেছে, সে বিষয়ে অনেকেই নিঃসন্দেহ। ঘণ্টাতলা প্রতিষ্ঠার আগেও গাছটির অস্তিত্ব ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। নুইয়ে পড়া বটগাছটিকে আবার ওই স্থানেই পুনরায় প্রতিষ্ঠা দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়েও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া চলছে বলে বিশ্বভারতী সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy