বিষ্ণুপুরে। নিজস্ব চিত্র
প্রত্যেক দিনের মতো শনিবার ভোরবেলায় লালবাঁধের পাড়ে ছুটতে গিয়ে খুদে প্রাণীটিকে দেখে চমকে গিয়েছিল দশম শ্রেণির তিন পড়ুয়া। লাল মোরাম রাস্তার ঠিক মাঝখানে পড়ে রয়েছে সবুজ রঙের প্রাণীটি। গিরগিটির মতোই দেখতে, কিন্তু কিছুটা বড়। প্রাণীটিকে দেখে রীতি মতো ভ্যাবাচাকা অবস্থা তাদের। শেষে ছাত্রেরা বুদ্ধি করে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দেয়। তাতে উচ্ছ্বসিত বিষ্ণুপুরের বিট অফিসার অপূর্ব মোহান্তি বলেন, ‘‘ছেলেগুলো খুব সচেতন। ওই প্রাণীটি ক্যামেলিয়ন। কোনও ক্ষতি না করে বরং যত্ন করে নিয়ে এসে বন দফতরকে তুলে দিয়েছে। ওদের এই কাজ প্রশংসনীয়।’’ তিনি জানান, প্রাণী চিকিৎসক ক্যামেলিয়নটিকে পরীক্ষা করবেন। তারপরে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
বিষ্ণুপুর কে এম হাইস্কুলের ছাত্র মণীষ কর্মকার, বীরু দাস ও রাকেশ দাস ছুটতে গিয়ে ক্যামেলিয়নটিকে দেখতে পায়। তাদের কথায়, ‘‘ওই প্রীণীটিকে আগে আমরা দেখেনি। তাই কৌতূহলী হয়ে ওকে হাতে তুলে নিয়ে ছিলাম।’’ সেখান থেকে তারা কবরডাঙা এলাকায় গৃহশিক্ষক সোমনাথ চন্দ্রের কাছে যায়। তিনিই গুরুত্ব বুঝে কে এম হাই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে ঘটনাটি জানান। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীদের নিয়ে বিট অফিসার গিয়ে ক্যামেলিয়নটি উদ্ধার করেন। ততক্ষণে বীরু কয়েকটি ফড়িং ধরে এনেছিল। সে ক্যামেলিয়নের মুখের সামনে ফড়িংগুলো ধরে।
বন দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, ক্যামেলিয়ন জল-জঙ্গল ঘেরা এলাকায় থাকতে ভালবাসে। লোকালয়ে কম দেখা গেলেও বিরল প্রাণীর পর্যায়ে পড়ে না। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে ওন্দার আগড়দা গ্রামে একটি ক্যামেলিয়ন দেখা গিয়েছিল। বাসিন্দারা ঝুঁড়ি চাপা দিয়ে রেখে বন দফতরে খবর দেন। খবর দেওয়া হয় বিষ্ণুপুর রেঞ্জ অফিসে। বন কর্মীরা ক্যামেলিয়নটিকে পরে জঙ্গলে ছেড়ে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy