গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল বীরভূম পুলিশ। লক্ষ্য ছিল, বেআইনি ভাবে মজুত করা চোলাই মদ উদ্ধারের। কিন্তু চোলাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে দু’ড্রাম ভর্তি তাজা বোমাও পাওয়া গেল সেখানে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে হইচই বীরভূমের নানুরে। ওই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নানুরের মোহনপুর গ্রামের একটি বাড়িতে গিয়েছিল নানুর থানার পুলিশ এবং আবগারি দফতরের একটি করে দল। বাড়িতে কেউ থাকতেন না। ঘরে ঢুকে টিন টিন চোলাই মদ দেখতে পায় পুলিশ। সেগুলো নষ্ট করার প্রক্রিয়ার মধ্যেই পুলিশকর্মীদের চোখ যায় বাড়ির কোণে আরও দুটো ড্রামের দিকে। কিন্তু সেখানে চোলাই নয়, রাখা ছিল বোমা। সব বিস্ফোরকই তাজা বলে জানা গিয়েছে। চোলাই মদ নষ্ট করার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করতে উদ্যোগ নেয় পুলিশ। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, বাড়িটির মালিক আদতে জনৈক তৈলঙ্গ কোঙার। তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে অন্যত্র বসবাস করছেন। পরিত্যক্ত বাড়িটি ‘নিজের করে নিয়ে’ চোলাই মদ তৈরির জন্য ব্যবহার করতেন শান্ত। তিনি শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত বলে প্রতিবেশীরা প্রতিবাদ করতে সাহস করেননি। দীর্ঘ দিন ধরে ওই কারবার চালাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে আবগারি দফতর এবং পুলিশের অভিযানে তিনি পাকড়াও হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ৩০টি তাজা বোমা রাখা হয়েছিল দুটো ড্রামে। কার কথায়, কী লক্ষ্যে বোমা রাখা হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখছে নানুর থানার পুলিশ। বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য সিআইডির বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
বীরভূমের ইলামবাজার এবং পাড়ুইয়ের পর নানুরে পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃত শান্ত সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। তাঁর বৌমা মামনি দাস দু’বারের বড়া সাঁওতা পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। তবে চোলাই এবং বিস্ফোরক উদ্ধার প্রসঙ্গে তৃণমূল কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।