প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাখি বন্ধনের দিন জেলার সমস্ত পঞ্চায়েতে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঢালাই রাস্তা নির্মাণের সূচনা করা হবে। কিন্তু অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মানা হয়নি সাঁইথিয়ার দেড়িয়াপুর অঞ্চলে। এমনকী, রাস্তা নির্মাণের ব্যাপারে এখনও দরপত্র ডাকারই ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি পঞ্চায়েত।
গত ৫ অগস্ট বোলপুরের গীতাঞ্জলি হলে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, রাখির দিন জেলার প্রতিটি পঞ্চায়েতে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কংক্রিটের রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করার। জেলা পরিষদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার জেলার ১৬৭টি পঞ্চায়েতেই এক কিলোমিটার করে রাস্তা নির্মাণের সূচনা করা হয়েছে। কিন্তু, দেড়িয়াপুর এলাকায় তা দেখা যায়নি। এলাকাবাসীর বক্তব্য, সাঁইথিয়া-মহম্মদবাজার রাস্তায় বাগডোলা মোড় থেকে বনগ্রাম আদিবাসী পাড়া পর্যন্ত অংশটি ২০১৪ সালে তৈরি হয়েছিল। ওই রাস্তার উপরেই দেড়িয়াপুর উচ্চ মাধ্যমিক হাইস্কুল। বাকি রাস্তা পাকা করার দাবি ছিল দীর্ঘ দিনের। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো বনগ্রামের বিজয় সেতু থেকে দেড়িয়াপুর পর্যন্ত বাকি রাস্তাটুকু ঢালাইয়ের হলে ভোগান্তি দূর হবে। সেই দাবি মেনে নেয় পঞ্চায়েত।
তার পরেও বৃহস্পতিবার কেন ওই রাস্তা নির্মাণের সূচনা হল না? পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রভাকর বাগদি বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে যা বলার, নির্মাণ সহায়কই বলতে পারবেন।’’ নির্মাণ সহায়ক অমল ভকত বলেন, ‘‘রাস্তা নির্মাণের টেন্ডার প্রসেস না হওয়ায় ওই কাজে হাত দেওয়া যায়নি।’’ কেন তা করা যায়নি? সদুত্তর দিতে পারেননি প্রধান লক্ষ্মী হাঁসদাও। তবে, তিনি জানিয়েছেন, রাস্তা নির্মাণ করতে জেলাস্তরের অনুমতি চেয়ে শুক্রবার দুপুরে আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জেলার সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো জেলার ১৬৭টি পঞ্চায়েতেই বৃহস্পতিবার ঢালাই রাস্তা নির্মাণের সূচনা হওয়ার কথা। দেড়িয়াপুরে কেন হয়নি, তা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’’ কেন এমনটা হল, তা খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন সাঁইথিয়ার বিডিও অতনু ঝুরিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy