জখম শিশু। —নিজস্ব চিত্র
বাড়িতে ছিলেন না মা-বাবা। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁদের পাঁচ বছরের শিশুর জিভ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পড়শি মহিলার বিরুদ্ধে। নলহাটি থানার কয়থা গ্রামের মোমিনপাড়া এলাকার ঘটনা। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনার পরে মঙ্গলবার শিশুটির মা জোহুরা বিবি, পড়শি সাবিনা বিবির নামে নলহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত সাবিনা বিবি অবশ্য দাবি করেন, ‘‘ঘটনার দিন বাড়িতেই ছিলাম না। পরে এসে শুনছি আমার নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিবি।’’
সোমবার রাতেই রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে জোহুরা বিবির পাঁচ বছরের মেয়ে সামনুর খাতুনের জিভে অস্ত্রপচার করা হয়। রামপুরহাট হাসপাতালের চিকিৎসক তরুণ পাত্র বলেন, ‘‘ওই শিশুটিকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন তাঁর জিভের সামনের দিকের একটি অংশ কাটা অবস্থায় ঝুলছিল। শিশুটিকে অজ্ঞান করে অস্ত্রপচার করা হয়। বেশ কয়েকটি সেলাই করতে হয়েছে।’’
জোহুরা বিবির দাবি, ‘‘স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে আমি বাইরে বাইরে কাপড়ের ব্যবসা করি। সোমবার পাকুড় গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বিকালে নলহাটিতে কাপড় কেনার সময় জানতে পারি মেয়েকে রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসে দেখি পাড়ার কয়েকজন মহিলা হাসপাতালে বসে আছেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আজ সকালে মেয়েকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। কি ঘটেছিল সে ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়ে আমাকে জানায় খেলাধূলা করছিল। পরে পড়শি সাবিনা বিবি গলা টিপে ধরে জিভ বার করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কেটে দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। পাড়ার মেয়েরাই মেয়েকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করে।’’
এ দিন দুপুরে হাসপাতাল থেকে থানায় অভিযোগ জানাতে যান জোহুরা বিবি। সঙ্গে মেয়েকেও নিয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদেরকে কিছু না জানিয়ে ওই রোগীকে নিয়ে যান তাঁর পরিবার। হাসপাতাল সুপার সুবোধকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই রোগীটিকে সকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। দুপুর একটা নাগাদ ফিরে এসে ডিসচার্জ নেয়। পরে, আবার নতুন করে ভর্তি হয়। কেউ ভর্তি হতে চাইলে আমাদের কিছু করার নেই।’’
জোহুরা বিবি যাই দাবি করুন, এ দিন বিকেলে কয়থা গ্রামের মোমিনপাড়ার বাসিন্দা লিলি বিবি বলেন, ‘‘কাল বিকেলে চোখে কাপড় বেঁধে মেয়েটা পাড়ার অন্য মেয়েদের সঙ্গে খেলছিল। খেলতে খেলতে ও বাঁশের উপর পড়ে যায়। পড়ে গিয়ে মুখে কাপড় নিয়ে আমার বাড়ির বারান্দায় বসে ছিল। ওকে রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy