Advertisement
E-Paper

নাম নেই তালিকায়, বিক্ষোভ পঞ্চায়েতে

অভিযোগ, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের তালিকায় ঠাঁই মিলেছে সম্পন্ন লোকজনের। অথচ অনেক দিনমজুর বা খেতমজুরের নাম সেই তালিকায় ওঠেনি। কী ভাবে যোগ্য লোকের নাম এই তালিকা থেকে বাদ পড়ল, সেই প্রশ্ন তুলে শনিবার স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন হুড়া ব্লকের রখেড়া গ্রামের বাসিন্দারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৬ ০২:১৮
কার্ড নেওয়ার লাইন। —নিজস্ব চিত্র।

কার্ড নেওয়ার লাইন। —নিজস্ব চিত্র।

অভিযোগ, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের তালিকায় ঠাঁই মিলেছে সম্পন্ন লোকজনের। অথচ অনেক দিনমজুর বা খেতমজুরের নাম সেই তালিকায় ওঠেনি। কী ভাবে যোগ্য লোকের নাম এই তালিকা থেকে বাদ পড়ল, সেই প্রশ্ন তুলে শনিবার স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন হুড়া ব্লকের রখেড়া গ্রামের বাসিন্দারা।

এ দিন রখেড়া-বিসপুরিয়া পঞ্চায়েতের রখেড়া সংসদ এলাকার বাসিন্দাদের জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের ডিজিটাল রেশন কার্ড বিতরণ করা হচ্ছিল। এলাকার বাসিন্দাদের বড় অংশের দাবি, কার্ড পাওয়ার পরে দেখা যায়, অনেক গরিব মানুষের নাম তালিকায় ঠাঁই হয়নি। আবার এমন কিছু লোকের নাম উঠেছে, যাঁরা তাঁদের থেকে তুলনামূলক ভাবে সম্পন্ন।

মুখে মুখে এই খবর এলাকায় চাউর হয়ে যায়। কার্ড হাতে নানা প্রশ্ন করে তার সদুত্তর না পেয়ে এর পরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দেন। আটকে পড়েন পঞ্চায়েতের কর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তালা খোলে।

হুড়ার বিডিও সুব্রত বিশ্বাস এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুভাষ মাহাতোও পৌঁছন। বিক্ষোভকারীরা তাঁদের কাছে কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে প্রশ্ন তোলেন, ওই সমস্ত লোক দিনমজুরি বা খেতমজুরি করে সংসার চালান। কারও বা ছোট দোকান আছে। অথচ তাঁদের নাম খাদ্য সুরক্ষার তালিকায় ওঠেনি। শেষে বিডিও-র আশ্বাসে বিক্ষোভ থামে। কার্ড বিলির কাজও শুরু হয়।

বিডিও বলেন, ‘‘খানিকটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মানুষ যা জানতে চাইছিলেন, তার সদুত্তর না পেয়ে তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল।’’ তিনি জানান, গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে বলা হয়েছে, তালিকায় নাম না থাকলেও পুনরায় নাম তোলার জন্য আবেদন করা যাবে নির্ধারিত ফর্মে। যত দিন না সেই আবেদনের নিষ্পত্তি হচ্ছে, তত দিন তিনি পুরনো রেশন কার্ড দেখিয়েই খাদ্যপণ্য পাবেন বলে জানানো হয়েছে।

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এই তালিকাই শেষ নয়। যাঁদের নাম তালিকায় থাকা উচিত নয়, তাঁদের নাম ফের সমীক্ষার পরে বাদ দেওয়া হবে। এই বিষয়টি মানুষজনকে বোঝানো হয়েছে।’’ পঞ্চায়েত প্রধান বৈশাখী মাহাতো জানিয়েছেন, তাঁর দলের (তৃণমূল) পঞ্চায়েত সদস্যদের দু-এক জনের নাম তালিকায় থাকায় বিভ্রান্তি হয়েছে।

Panchayat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy