তাল কাটল মানভূম ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক একটি আলোচনা সভার। শনিবার থেকে পুরুলিয়া রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত তিনদিনের ওই সভায় তাঁদের অসম্মান করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলল আদিবাসীদেরই একটি সংগঠন। সোমবার ‘খেরোয়াল লাকচার গাঁওতা’ নামে আদিবাসীদের ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছে এই মর্মে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়।
সংগঠনের পক্ষে জাগর মুর্মু, অলক হেমব্রম, গণেশ মারান্ডিদের অভিযোগ, ‘‘রবিবার আমাদের কয়েকজন সদস্য সভায় একটু দেরিতে উপস্থিত হন। সে জন্য মধ্যাহ্ন ভোজনের কুপন তাঁরা সংগ্রহ করতে পারেননি। সে কারণে আমাদের এক মহিলা সদস্যকে খাবার দিয়েও তা কেড়ে নেওয়া হয়।’’
এতেই গোলমালের সূত্রপাত হয়। তবে সমস্যা অন্য জায়গাতেও ছিল। তাঁদের আরও অভিযোগ, আলোচনাসভায় তাঁদের বিশেষ পাত্তা না দিয়ে অন্য একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে গুরুত্ব দেওয়া দেওয়া হয়। এর জেরে তাঁরা রবিবার সভা বয়কট করেন।
ওই সংগঠনের অভিযোগ, মানভূমের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনাসভা ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে কোনও সম্প্রদায়কে উপেক্ষা করা হবে, এটা কাম্য নয়। সরকারের আদিবাসী উন্নয়ন দফতর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে শুনে তাঁরা এ দিন জেলাশাসকের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানান।
যদিও উদ্যোক্তাদের পক্ষে কিরীটি মাহাতো দাবি করেন, ‘‘এতবড় সরকারি অনুষ্ঠান। তাতে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কাউকে কম গুরুত্ব দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।’’
যদিও জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রথমত এটি মোটেই সরকারি অনুষ্ঠান নয়। ‘পূর্বাঞ্চল আদিবাসী কুড়মি সমাজ’ মানভূম ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উপর আলোচনা সভা করতে চেয়ে আর্থিক সাহায্য চেয়েছিল। তা মঞ্জুর করা হয়েছে। এর বাইরে সরকারের কোনও ভূমিকা ওই অনুষ্ঠানে নেই। তবে ওই সংগঠনের উপেক্ষা করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy