স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তাদের কাছে থেকে ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ রয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাতেরও।
এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল মহম্মদবাজারের সেকেড্ডা গ্রামে। পুলিশের এলেও উত্তাপ কমেনি। বরং পুলিশের বিরুদ্ধে মূল অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। পুলিশ তা স্বীকার করেনি।
বীরভূমের সেকেড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতটি প্রথমে সিপিএমের দখলে থাকলেও বেশ কিছু সিপিএম সদস্য দলবদল করায় তা তৃণমূলের দখলে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পালাবদল হতে দুর্নীতি চরম আকার নিয়েছে। আগে সিপিএম করতেন এখন তৃণমূল করেন, সেকাড্ডা শেখ পাড়ার তিন বাসিন্দা আব্দুল আলিম, শেখ বাদল ওরফে হাফিজুর রহমান এবং শেখ সিরাজদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ বেশি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন এমন ১০ জনের কাছ থেকে ‘কিস্তির টাকা পেতে হলে টাকা দিতে হবে’ এই মর্মে ভয় দেখিয়ে বেশ কয়েক জনের কাছে থেকে ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন আলিমরা।
শুক্রবার শেখ মেহেলাল, হাসিবা বিবি, মুকুল বাগদি, তপন শেখ নামে আবাস যোজনার চার উপভোক্তা বিডিও (মহম্মদবাজার) অশিস মণ্ডলের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। তারপরই পরিস্থিতি ঘোরালো হয়। দিন তিনেক আগে কলে জল আনতে গিয়ে দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলায় পিয়ারুন বিবি নামে এক বধূর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে শেখ বাদল ওরফে হাফিজুর রহমানের ছেলের বিরুদ্ধে। ওই বধূ সিউড়ি হাসপতালে ভর্তি হন। কিন্তু, অভিযুক্তদের না ধরে রবিবার পুলিশ আহত বধূর স্বামীকে ধরতে চাওয়ায় উত্তেজনা বাড়ে। এক জোট হয়ে তার প্রতিবাদ করেন অনেকে। হাতের কাছে অভিযুক্তদের পেয়ে উত্তম-মধ্যম দিয়ে স্থানীয় ক্লাবে আটকেও রাখা হয়। অভিযুক্তদের ধরার আশ্বাস দিলে প্রতিবাদ ওঠে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতারা অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁরা বরং সিপিএমের কাঁধেই দোষ চাপাচ্ছেন। সিপিএমের বক্তব্য, পঞ্চায়েতের দখলই তো নেই। দুর্নীতির প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? বিডিও আশিস মণ্ডল বলেন, ‘‘গুরুতর অভিযোগ। যুগ্ম বিডিওকে ঘটনার তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তাতে সন্তুষ্ট না হলে নিজে বিষয়টি দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy