মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
কোথাও ছাত্রছাত্রী অনেক, কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক কম। আবার কোথাও শিক্ষকের সংখ্যা বেশি হলেও সেখানে পড়ুয়া ভর্তির হার তুলনায় কম। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় এলাকার স্কুলগুলিতে সমহারে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করার নির্দেশ দিয়েছে মহকুমা প্রশাসন। আর সেই নির্দেশের জেরেই নাকি রামপুরহাট শহরের স্কুলগুলিতে এলাকার পড়ুয়ারা পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারছে না। এমনই অভিযোগ তুলে শুক্রবার বঞ্চিত পড়ুয়াদের নিয়ে গ্রাম থেকে মিছিল করে রামপুরহাটে এসডিও অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি দিলেন স্থানীয় শ্রীকৃষ্ণপুর-পাখুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ।
শহর থেকে প্রায় কিলোমিটার খানেক দূরে থাকা রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির বড়শাল পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে ওই গ্রাম। রামপুরহাট পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড লাগোয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত এই গ্রামে একটি মাত্র প্রাথমিক স্কুল আছে। গ্রামে কোনও মাধ্যমিক স্তরের স্কুল নেই। প্রাথমিক স্কুল থেকে উত্তীর্ণ ছেলেমেয়েরা এত দিন রামপুরহাটের বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি হতো। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ নাসিরুদ্দিন, আতাউর রহমান, আব্দুস সাত্তার, মহম্মদ ইসমাইলদের অভিযোগ, ‘‘চলতি শিক্ষাবর্ষে গ্রামের চতুর্থ শ্রেণি থেকে উত্তীর্ণ ছেলেমেয়েদের জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন, রামপুরহাট হাইস্কুল, রামপুরহাট গার্লস হাইস্কুল ভর্তি নিচ্ছে না। ওই নির্দেশের কথা জানিয়ে ঘুরিয়ে দিচ্ছে। অথচ গ্রাম থেকে রামপুরহাট এক কিলোমিটারের মধ্যে।’’
এই অবস্থায় গ্রামবাসীদের দাবি, প্রশাসনকে তাদের ছেলেমেয়েদের রামপুরহাটের স্কুলগুলিতে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আর তা না পারলে গ্রামে একটি মাধ্যমিক স্তরের স্কুল খুলুক সরকার। ওই দাবিতে এ দিনের মিছিল। এসডিও সুপ্রিয় দাসের পরিবর্তে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট তপন ঘোষাল তা গ্রহণ করেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে এসডিও-র সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাসও দেন।
যদিও গ্রামবাসীর অভিযোগ মানতে নারাজ রামপুরহাটের স্কুলগুলির অনেকেই। জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের প্রধান শিক্ষক গৌরচন্দ্র ঘোষের দাবি, তাঁরা গত দশ দিন ধরে সকল ছাত্রদের ভর্তি নিচ্ছেন। একই দাবি রামপুরহাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ নুরুজ্জামানেরও। অন্য দিকে, রামপুরহাট গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছায়া চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখনও ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তবে এসডিও-র নির্দেশ মেনে ভর্তি নেব।’’
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সুপ্রিয়বাবু জানান, গত তিন বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রামপুরহাট শহরে বেশ কিছু স্কুলে ছাত্র ভর্তির আধিক্য শিক্ষকদের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। আবার কিছু স্কুলে ছাত্র ভর্তির সংখ্যা শিক্ষকদের তুলনায় যথেষ্ট কম। “ছাত্র ভর্তির সংখ্যা সমানুপাতিক করতেই প্রত্যেকটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শহর থেকে দু’ কিলোমিটারের বাইরের এলাকার কাউকে যেন ভর্তি না নেওয়া হয়। ওই গ্রামের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে কী হয়েছে, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,”—বলছেন সুপ্রিয়বাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy