পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ব্যালট পেপারে গোলমাল-সহ প্রার্থীকে মারধর, বুথ দখলের অভিযোগ উঠল। মুরারই থানার ডুমুরগ্রাম হাইমাদ্রাসার নির্বাচন ঘিরে রবিবার এই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস ও সিপিএম-এর তরফে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোটের কর্মী-সমর্থকেরা।
এলাকার সিপিএম নেতা তথা মুরারই ১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা আব্দুস সামাদ দাবি করেন, রবিবার সকাল থেকেই নির্বাচন ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছিল। পরে ব্যালটের সিরিয়ালে গোলমাল ধরা পড়ে। তাঁর অভিযোগ, ব্যালট পেপারে ১২ জন প্রার্থীর সিরিয়ালে ১১ ও ১২ নম্বরে জোট সমর্থিত মহিলা প্রার্থীদের নাম থাকার কথা ছিল। সেই মতো নকল ব্যালট পেপারে ভোটের প্রচারও চালানো হয়। কিন্তু আসল ব্যালটে পেলে দেখা যায়, মহিলা প্রার্থীদের নাম ১ ও ২ এ রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে এক মহিলা প্রার্থী প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন।
দীর্ঘ দিন ধরেই ডুমুরগ্রাম মাদ্রাসার পরিচালন কমিটি বামপন্থীদের দখলে রয়েছে। এ বার কংগ্রেস, সিপিএম সমর্থিত জোট প্রার্থীদের সঙ্গে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল বিধানসভা নির্বাচনে মুরারইয়ে জয়ী হওয়ার পরে এলাকা দখলের ক্ষেত্রে ডুমুর গ্রাম এলাকাও ছাড়েনি। সেই চেষ্টা শুরু হয়েছে মাদ্রাসা নির্বাচনেও। জোট সমর্থিত কর্মীদের অভিযোগ, এজেন্ট নিয়োগ নিয়েও স্কুলের গেটের সামনে এমদাদুল মোমিন নামে জোটের এক প্রার্থীকে মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা। বুথ দখলের অভিযোগও করেছেন জোট সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকেরা।
নির্বাচনের দিনে ব্যালট নিয়ে অভিযোগের প্রশ্নে ডুমুরগ্রাম হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ ভুল স্বীকার করছেন। একই সঙ্গে তাঁর যুক্তি, ‘‘ওটা অন্য কিছু নয়। নেহাতই ছাপার ভুল।’’ স্কুল চত্বরের মধ্যে কোনও গোলমালের কথাও মানতে চাননি তিনি।
জেলা সিপিএমের এক নেতার অভিযোগ, ‘‘এ দেশের গণতন্ত্রের প্রতি যে তৃণমূলের বিন্দুমাত্র আস্থা নেই, তা মুরারইয়ের ঘটনা ফের প্রমাণ করল। ওরা যে কোনও উপায়ে সমস্ত কিছুই দখল করতে চায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy