সরকারি ব্যাজ না থাকায় জামা খুলিয়ে চার পড়ুয়াকে শাস্তি দেওয়ার অভিযোগে সোমবার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমের সিউড়ি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপা দত্ত দে। তাঁর পাল্টা দাবি, ওই ছাত্রেরা নোংরা, ছেঁড়া জামা পরে এসেছিল। তাই প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ডেকে বোঝানোর জন্য এক বার জামা খুলিয়ে ফেরপরানো হয়েছে।
এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কিছু অভিভাবক স্কুলের দরজার সামনে জড়ো হয়ে চেঁচামেচি শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের ব্যাজ ছিল না তাঁদের ছেলেদের জামায়। তাই জামা খুলিয়ে শাস্তি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা। পরে আরও লোক জড়ো হয়। তাদের ক্ষোভ, সমস্যার কথা ওই ছাত্রদের মা-বাবাকে ডেকে বলতে পারতেন প্রধান শিক্ষিকা। সমাজমাধ্যমে ছড়ানো ভিডিয়োয় জামা হাতে প্রধান শিক্ষিকা ও ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত অবস্থায় এক ছাত্রকে দেখা গিয়েছে। প্রধান শিক্ষিকাকে শাসানি দিতেও শোনা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের একাংশকে।
প্রধান শিক্ষিকার দাবি, “ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই ওদের নতুন জামা দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কেন পুরনো, নোংরা, ছেঁড়া জামা পরে এসেছে, সে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। জামায় ব্যাজ না থাকায় কিছু বলা হয়নি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কাউকে অপমান করিনি। আমাকেই দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক বলেন, “বিষয়টি কানে এসেছে। মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)