Advertisement
E-Paper

TMC: বেঁকে বসলেন তৃণমূল নেতা, ভেস্তে গেল যোগদান

বিষ্ণুপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর শ্রীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন দুপুর নাগাদ বিষ্ণুপুরের বিধায়কের অফিসের সামনে এসে হাজির হন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২২ ০৭:৪৫
হল ক্ষোভ-বিক্ষোভ।

হল ক্ষোভ-বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

দলীয় নেতার ‘অসহযোগিতা’য় ভেস্তে গেল কংগ্রেস কাউন্সিলরের তৃণমূলে যোগদান। শনিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের ঘটনা। ঘটনা ঘিরে তৃণমূলের ‘কোন্দলও’ সামনে এসেছে, দাবি অনেকের।

বিষ্ণুপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর শ্রীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন দুপুর নাগাদ বিষ্ণুপুরের বিধায়কের অফিসের সামনে এসে হাজির হন। সেখানে ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায়, দলের বিষ্ণুপুর টাউন সভাপতি সুনীল দাস, বিষ্ণুপুরের পুর-প্রধান গৌতম গোস্বামী-সহ একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর। সেখানে স্থান সংকুলান না-হওয়ায় পুরসভার ডর্মিটরির সামনে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে শ্রীকান্তবাবুর হাতে দলের পতাকা তুলে দেওয়ার জন্য সুনীলবাবুকে ডাকা হলে তিনি বেঁকে বসেন। দাবি করেন, “আমাকে কি জানানো হয়েছিল যে, কেউ দলে যোগদান করবেন? এই যোগদানে আমি নেই।”

এর পরে, শুরু হয় চরম হই-হট্টগোল। ডর্মিটরির সামনের রাস্তা ঘিরে বসে যান শ্রীকান্তবাবুর শতাধিক কর্মী-সমর্থকেরা। শেষমেষ ভেস্তে যায় যোগদান পর্ব। পরে, অলোকবাবু বলেন, “জেলার অনেক কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে কলকাতায় আবেদন জানিয়েছেন। কলকাতা থেকেও আমাদের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হয়েছে।” তাঁর সংযোজন, “আজ না হলেও শ্রীকান্তবাবুর দলে যোগদান করা পাকা। ওঁর কাগজপত্র নিয়ে কলকাতায় যাচ্ছি। আজ যা ঘটল, দলীয় নেতৃত্বকে জানাব।” শ্রীকান্ত ফোনে বলেন, “তৃণমূলে যোগদানের জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম। সেই মতো দলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় শনিবার যোগদানের জন্য জানিয়েছিলেন। তবে কেন এমন হল, জানি না!”

জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে আমাদের দলে ভিড়ে টিকিট নিয়ে মানুষেরসমর্থন পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তবে মাস তিনেক কোনও যোগাযোগ ছিল না। তৃণমূলে যাওয়ার বিষয়েও কিছু জানাননি। আসলে কিছু লোক স্বার্থের রাজনীতি করেন। যখন যেখানে ফায়দা দেখেন, সে দিকেই ঝোঁকেন। মানুষ এঁদেরচিনে রাখুন।”

তৃণমূলের টাউন সভাপতি পরে বলেন, “শ্রীকান্তবাবুর যোগদানে আপত্তি নেই। তবে আরও তিন নির্দল কী দোষ করলেন! তাঁদেরও যোগদানের সুপারিশ করা উচিত ছিল জেলা সভাপতির।” তাঁর আরও অভিযোগ, “আসলে এ ভাবে বিষ্ণুপুরের তৃণমূলকে ভাগ করার চেষ্টা হচ্ছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রাজ্য নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানাচ্ছি।”

Congress TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy