বীরভূমে বক্তৃতা করছেন কংগ্রেস নেত্রী সুব্রতা দত্ত। — নিজস্ব চিত্র।
দলীয় কর্মীদের পুলিশকে গুলি করতে বলার হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন প্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুব্রতা দত্ত। শুক্রবার বীরভূমের হাঁসনে ‘ভারত জোড়ো’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন সুব্রতা। যেখানে বক্তৃতা করতে গিয়ে দলীয় কর্মীদের পুলিশকে গুলি করার নিদান দেন তিনি। সুব্রতার ওই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। একযোগে এ হেন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। শুক্রবার হাঁসনের বেসিক মোড় এলাকায় ‘ভারত জোড়ো’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন সুব্রতা। সেখানে রণং দেহি মূর্তি ধরে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশকে একদম ভয় করবেন না। পুলিশকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাবেন। বলবেন, ‘আমাদের এখানে রুখছে, আমাদের সঙ্গে সন্ত্রাস করছে। তোমরা এখানে দাঁড়াও।’ একদম করবেন এটা। সকলে একসঙ্গে যাবেন। তার পর দেখবেন কী করে ওরা।’’ এর পরই সুব্রতা বলে বসেন, ‘‘দরকার পড়লে বোম মারতে হবে। যদি ভাইপো বলতে পারে, ‘পুলিশ মাথায় গুলি করবে’, তা হলে আমরাও কংগ্রেস বলছি, পুলিশের সারা বডিতে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেব। এ জন্য আমাদের না হয় দু’চারটে লাশ পড়বে। আমরা এই ভাবেই চলব। আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। দেওয়ালটা ভেঙে গিয়েছে। আমরা আর সইব না।’’
২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বীরভূমেরই পাড়ুইয়ের কসবা এলাকায় একটি প্রকাশ্য সভা থেকে পুলিশের উপরে ‘বোমা’ মারা এবং নির্দল প্রার্থীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। সেই অনুব্রত বর্তমানে গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি। শুক্রবার কংগ্রেস নেত্রী সুব্রতার বক্তব্য নিয়ে বীরভূমে তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখন বিরোধীরা এমন গরমাগরম বক্তৃতা করে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে। কংগ্রেসের কিছুই নেই। তাই এ সব বলে প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করছে। সব সন্ত্রাসের জবাব মানুষ আগেও দিয়েছে। আবার দেবে।’’
কংগ্রেস নেত্রীর এ হেন মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের সুরে সুর বিজেপিরও। গেরুয়াশিবিরের বীরভূম জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘কংগ্রেসের কিছু নেই। তাই তারা এ সব বলছে। মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী দিনেও করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy