Advertisement
০২ জুন ২০২৪
নলহাটিতে নিশানায় বিডিও

আবেদনপত্র ছেঁড়ায় বিতর্ক

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অভিযোগ, এক বছর পার হলেও বিডিও অর্থ এবং স্থায়ী সমিতির সভা ডাকছেন না। স্থায়ী সমিতির সদস্য এবং কর্মাধ্যক্ষদের উপেক্ষা করে খেয়াল খুশি মতো কাজ করছেন।

ভাঙচুর অফিসে। নিজস্ব চিত্র

ভাঙচুর অফিসে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নলহাটি শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৭ ০১:৪৬
Share: Save:

বছর পেরোলেও পঞ্চায়েত সমিতির অর্থ এবং স্থায়ী সমিতির সভা না ডাকায় বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। লিখিত আবেদনও জমা দেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের তপন মালের অভিযোগ, আবেদন মেনে সভা ডাকা তো দূর, উল্টে আবেদন পত্র ছিঁড়ে ফেলে অফিস থেকে তাঁদের বের করে দেন বিডিও। নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতির মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনা।

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অভিযোগ, এক বছর পার হলেও বিডিও অর্থ এবং স্থায়ী সমিতির সভা ডাকছেন না। স্থায়ী সমিতির সদস্য এবং কর্মাধ্যক্ষদের উপেক্ষা করে খেয়াল খুশি মতো কাজ করছেন। তার ফলে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। অবিলম্বে বৈঠকের লিখিত দাবি নিয়ে মঙ্গলবার বিডিও-র কাছে লিখিত আবেদন জমা দিতে যান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ পাঁচ কর্মাধ্যক্ষ। অভিযোগ তখনই বিডিও লিখিত আবেদন ছিঁড়ে ফেলে দেন। সভাপতি-সহ কর্মাধ্যক্ষদের অফিস থেকে বের করে দেন। খবর পেয়ে বিডিও অফিসে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আবেদনপত্র ছিঁড়ে ফেলার কথা মেনেছেন বিডিও। বৈঠক ডাকা নিয়ে নলহাটি ১ ব্লকের বিডিও কিংশুক রায়ের ব্যাখ্যা: পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলছে। এই অবস্থায় অর্থ ও স্থায়ী সমিতির সভা ডাকা যায় না। বিডিও-র কথায়, ‘‘তারপরও ওঁরা জোরাজুরি করছিলেন। এক সময় আমাকে নানা ধরনের অপমানজনক কথাবার্তা বলতে শুরু করেন। চেয়ারও ছুড়ে ফেলে দেন। তখন মাথায় ঠিক থাকতে না পেরে ওদের লিখিত আবেদন ছিঁড়ে ফেলি!’’

তপন মালের অবশ্য দাবি, ‘‘কেউ বিডিওকে গালিগালাজ করেননি। আমরা ন্যায্য দাবি জানাচ্ছিলাম। বিডিও এখন নিজেকে বাঁচাতে মনগড়া কথা বলছেন।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির উন্নয়নমূলক কাজের জন্য অর্থ ও স্থায়ী সমিতির মিটিং ডাকা যাবে না, উচ্চ আদালতের এমন কোনও নির্দেশ নেই। তা ছাড়া এক জন আধিকারিক হিসাবে জন প্রতিনিধিদের লিখিত আবেদন ছিঁড়ে ফেলা এবং অফিস থেকে বের করে দেওয়া যথেষ্ট অপমানজনক।’’ তবে এ নিয়ে কোনওপক্ষই লিখিত ভাবে পুলিশে কোনও অভিযোগ জানায়নি।

রামপুরহাটের মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘‘বিডিও-র মুখে শুনেছি ওরা তাঁকে আক্রমণ করতে গিয়েছিলেন। চেয়ার-টেবিলও উল্টে দিয়েছেন। তবু বিষয়টি দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE