E-Paper

বিরূপাক্ষের পুরুলিয়া যোগ! অডিয়োয় হইচই

এই অডিয়োকে উদাহরণ দেখিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে ‘থ্রেট কালচারে’র অভিযোগ উঠেছে, পুরুলিয়াও যে তার বাইরে নয়, এমনটাই দাবি তুলেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, ওই অডিয়োয় কণ্ঠস্বরটি বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৭
বিরূপাক্ষ বিশ্বাস।

বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। —ফাইল চিত্র।

আর জি কর কাণ্ডের আবহে সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি অডিয়ো ক্লিপ (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে পুরুলিয়ায়। এই অডিয়োকে উদাহরণ দেখিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে ‘থ্রেট কালচারে’র অভিযোগ উঠেছে, পুরুলিয়াও যে তার বাইরে নয়, এমনটাই দাবি তুলেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, ওই অডিয়োয় কণ্ঠস্বরটি বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের।

অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে, অপর প্রান্তের বক্তা বলছেন তিনি পুরুলিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক বিশ্বাসকে তিনি চেনেন। এ নিয়ে কথা বলে নেবেন। এ-ও বলছেন, ‘তোরা এ নিয়ে কোনও চিন্তা করিস না।’ বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রঙ্গার দাবি, ‘‘এই কণ্ঠস্বর বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের।কথোপকথন শুনলেই স্পষ্ট হয় যে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে হুমকি-শাসানির সংস্কৃতি সামনে এসেছে পুরুলিয়াও তার বাইরে নয়।’’

উল্লেখ্য, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁকে সাসপেন্ডও করেছে। পুরুলিয়ার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক বিশ্বাস মানছেন, ‘‘আমি শুনলাম। এই ক্লিপটি আমার সঙ্গে বিরূপাক্ষ বিশ্বাসেরই কথপোকথনেরই অংশ। সেখানে একবারই বলেছেন, আমাকে চেনেন। একদিন একটি অচেনা নম্বর থেকে আমার মোবাইলে ফোন আসে। অপর প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস বলে পরিচয় দেন। আমি তার আগে এই ব্যক্তিকে চিনতামও না। কেন ফোন করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহুয়া মহান্তি নামে যে ডেপুটি সিএমওএইচ (টু) রয়েছেন তাঁর বাড়িতে কিছু সমস্যা রয়েছে। তাঁকে একটু দেখবেন।’’ অশোকের দাবি, ওই একবারই তাঁর সঙ্গে বিরূপাক্ষের কথা হয়েছিল।

মহুয়াদেবী বর্তমানে পুরুলিয়ায় ওই একই পদে রয়েছেন। এ দিন তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমার এক আত্মীয় কলকাতায় স্বাস্থ্য দফতরে রয়েছেন। জেলায় দু’বছর থাকার পরে আমি বদলির চেষ্টা করছিলাম। কারণ বাড়িতে আমার স্কুল পড়ুয়া সন্তান রয়েছে। সামনেই তার বোর্ডের পরীক্ষা। ওই আত্মীয় আমাকে ওই ব্যক্তির ফোন নম্বর দিয়েছিলেন। আমিও তার আগে ওঁকে চিনতাম না। ওঁকে ফোনে সমস্যা মেটানোর অনুরোধ করি। সে জন্যই তিনি হয়তো সিএমওএইচকে ফোন করে থাকতে পারেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Birupaksha Biswas purulia R G Kar Medical College And Hospital Incident

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy