রীতিমতো রসিদ ছাপিয়ে বন দফতরের জমি থেকে কর আদায় করছিল পঞ্চায়েত সমিতি। অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা তোলাও চলছিল কয়েক দিন ধরে। অবশেষে অভিযোগ পেয়ে বন্ধ করল বন দফতর।
বাঘমুণ্ডিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের একাংশ অভিযোগ তুলছিলেন, অযোধ্যা পাহাড়ের বামনি ফলসে বেড়াতে যাওয়ায় গাড়ি রাখা ও আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির ছাপানো রশিদ দিয়ে প্রতি গাড়ি পিছু কুড়ি টাকা করে নিচ্ছেন কিছু যুবক। পাশাপাশি যৌথ বন পরিচালনা কমিটির পক্ষেও বাঘমুন্ডি বনাঞ্চলের আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। ফলে নিয়মমতো বন দফতরের রাজস্ব থেকে স্থানীয় বন পরিচালন কমিটি যে লভ্যাংশ পায়, তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কমিটির সদ্যরা। এই দুই অভিযোগ পেয়েই ময়দানে নামে বন দফতর এবং শেষ পর্যন্ত বন্ধ হয়েছে টাকা তোলা।
বাঘমুণ্ডির বনাআধিকারিক আলমগীর হক বলেন, ‘‘বামনি ফলসের ওই এলাকা সম্পূর্ণভাবে বন দফতরেরl বন দফতরের জমিতেই রাস্তা করতে দেওয়া হয়েছে পূর্ত দফতরকেl সেখান থেকে অন্য কেউ এইভাবে রসিদ ছাপিয়ে টাকা তুলতে পারবে নাl এই বিষয়টি আমাদের চোখে পড়া মাত্রই আমরা পদক্ষেপ নিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি।’’