প্রতীকী চিত্র।
মিনিট দশেকের ব্যবধানে, এক বধূকে দু’বার করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শুক্রবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ার পখন্না প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই ঘটনায় স্বাস্থ্যকর্মীদের সতর্কতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সরেন বলেন, “এক বধূকে দু’বার করোনা প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। গোটা ঘটনাটি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ওই বধূর পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে নির্দেশ দিয়েছি প্রতিষেধক দেওয়ার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের।” তিনি যুক্ত করেন, “ঘটনাটি সত্যি হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও বড়জোড়ার বিধায়ক তৃণমূলের অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি ওই পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছি। এমন ভুল কী করে হল, তদন্ত হওয়া দরকার।”
পখন্নার রাজমাধবপুর গ্রামের বধূ মন্দিরা পালের দুই সন্তান রয়েছে। এক জনের বয়স ১০ মাস ও অন্য জনের ন’বছর। এ দিন বছর আটাশের মন্দিরাদেবী পখন্না প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় নিতে যান। তাঁকে দু’বার কোভিশিল্ড দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
কী ভাবে ঘটল এই ঘটনা? মন্দিরাদেবীর দাবি, “আমি প্রতিষেধক নেওয়ার পরে সেখানেই চেয়ারে বসেছিলাম। আমাকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরে নার্স তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। কিছুক্ষণ পরে ফের তিনি সিরিঞ্জ নিয়ে এসে আমাকে ইঞ্জেকশন দেন। অন্যদের এক বার দেওয়া হলেও আমাকে কেন দু’বার দেওয়া হল, নার্সকে সে প্রশ্ন করি। তখনই তিনি আমার হাত ধরে অন্য একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে বসান। সেখানে এক ডাক্তারবাবু এসে আমার সঙ্গে কথা বলেন। কোনও শারীরিক অসুবিধা না থাকায় আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।”
পরে সেই অভিযোগের কথা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মন্দিরাদেবীর স্বামী গুণময় পাল পেশায় ক্ষুদ্রচাষি। তিনি বলেন, “কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দু’বার করোনার প্রতিষেধক দেওয়ায় স্ত্রীর কোনও শারীরিক অসুবিধা হবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। দশ মাসের ছেলে রয়েছে। সে মায়ের দুধ খায়। সেটাও চিন্তার।”
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামলবাবু বলেন, “এমনিতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে ওই বধূর পরিবার চাইলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।” যদিও মন্দিরাদেবী জানান, রাত পর্যন্ত তাঁর শরীরে কোনও সমস্যা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy