Advertisement
E-Paper

সংক্রমণ ঠেকাতে হোমে কড়া নজর

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সরকারি হোমগুলির প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২০ ০৪:২৩
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

তিন মাসের রেশন মজুত। বাইরের কারও প্রবেশ নিষেধ। আবাসিকদের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গোটা চত্বর জুড়ে করা হচ্ছে জীবাণুনাশক স্প্রে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জেলার হোমগুলির প্রতি এমনই ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। বিশেষ করে যেখানে শিশুরা রয়েছে, সেখানে নজরদারি আরও বেশি।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সরকারি হোমগুলির প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হয়েছে। জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক নিরুপম সিংহ বলেন, ‘‘হোমে থাকা আবাসিকদের প্রতি সরকারি প্রশাসন দায়বদ্ধ। বিশেষ করে যে সব শিশুরা নানা সমস্যায় পড়ে সরকার পোষিত হোমগুলিতে থাকতে বাধ্য হয়েছে তাদের মধ্যে যাতে কোনও ভাবে করোনা সংক্রমণ না ছড়ায়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’

প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, প্রথমেই হোমের দায়িত্ব থাকা হোমের কর্মীদের ছুটি ও বাইরে বের হওয়া আটকানো হয়েছে। বলা হয়েছে, লকডাউন চলাকালীন তাঁরা যেন কেউ হোমের বাইরে না যান। কারণ সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা তাতেই বেশি হয়। একই ভাবে হোমের মধ্যে বাইরের কাউকে হোমে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন না হলে সেই তালিকায় আধিকারিকরাও রয়েছেন। তিন মাসের জন্য রেশন মজুত করা হয়েছে। চিকিৎসকদের দিয়ে আবাসিকদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে। দমকল বাহিনী দিয়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। রবিবার যেমনটা হয়েছে বোলপুরের দুটি হোমে। বাকিগুলিতে হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার মোট আটটি হোম রয়েছে। তার মধ্যে চারটি হোম শিশুদের জন্য। সেগুলি রয়েছে সিউড়ি বোলপুর, ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকে ও রামপুরহাটে। চারটি হোমে মোট শিশু রয়েছে কমবেশি ১০০জন। স্কুল ছুটি থাকায় স্বাভাবিক জীবনে থাকা শিশুদের বাড়িতেই সযত্নে আটকে রাখার চেষ্টা করছেন অভিভাবকেরা। বাধ্য হয়ে হোম থাকলেও সেখানে থাকা আবাসিক শিশুদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তাই নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে।

প্রত্যেক আবাসিকের জন্য পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ও মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বোলপুর সরকারি হোমের একটা ঘরকেই হোম কোয়রান্টিনের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। নিরুপমবাবু বলছেন, ‘‘হোমের প্রত্যেকে ভাল আছেন। গত পনেরো দিনে একজন মাত্র শিশু সর্দিকাশিতে ভুগতে থাকায় তাকে কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছিল। সেও ভাল আছে।’’

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy