Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Coronavirus

তিনশো কিমি হেঁটে বান্দোয়ানে

ওই ছয় শ্রমিক তিন মাস আগে একটি ঠিকা সংস্থার অধীনে ওড়িশার কেওনঝড় এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দেন।

শারীরিক পরীক্ষা করাতে বান্দোয়ান স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো

শারীরিক পরীক্ষা করাতে বান্দোয়ান স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো

নিজস্ব সংবাদদাতা
বান্দোয়ান শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২০ ০১:৫৭
Share: Save:

ওড়িশায় কাজে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের ছয় শ্রমিক। তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য ওই শ্রমিকদের পরিবারের তরফে আবেদন করা হয়েছিল স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের কাছে। অভিযোগ, ২৫ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অগত্যা ‘গুগল-ম্যাপ’ দেখে হেঁটেই বাড়ি ফিরবে বলে ঠিক করেছিলেন তাঁরা। সাড়ে তিনশো কিমি আসার পরে, পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে রাজ্যের সীমানায় তাঁদের আটক করেছে পুলিশ। পরে তাঁদের বান্দোয়ানের কর্মতীর্থে ‘কমিউনিটি কোয়রান্টিন’-এ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

ওই ছয় শ্রমিক তিন মাস আগে একটি ঠিকা সংস্থার অধীনে ওড়িশার কেওনঝড় এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দেন। সেখান কয়েকদিন কাজ করার পরে ‘লকডাউন’ শুরু হয়। কয়েকদিন খাদ্যসামগ্রী দিয়েছিল ওই ঠিকাসংস্থা। কিন্তু দ্রুত তা শেষ হয়ে যায়। টাকাপয়সাও শেষের মুখে। শুরু হয় নতুন সমস্যা।

ওই ছয় শ্রমিকের মধ্যে একলাস হকের ক্ষোভ,, ‘‘বহিরাগত বলে ওই এলাকার মানুষজন মাঝেমধ্যেই আমাদের গালিগালাজ করত। চলে যাওয়ার জন্যও চাপ দিচ্ছিল। আমাদের পরিবারের লোকজন স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই জনপ্রতিনিধিরা আমাদের আধার কার্ড চেয়েছিলেন। আধার কার্ড দেওয়ার পরে, ২৫ দিন পেরিয়ে গেলেও কিছু হয়নি।”

এর পরে ‘গুগল ম্যাপ’ দেখেই তাঁরা বাড়ির পথে হেঁটে আসছিলেন। সাড়ে চার দিন ধরে প্রায় সাড়ে তিনশো কিলোমিটার হেঁটে এ দিন সকালে তাঁরা পৌছন রাজ্যের সীমানায় বান্দোয়ানের ধ্বনি গ্রামে। সেখানেই পুলিশ তাঁদের আটক করে। তাঁদের হাতে জল ও বিস্কুট দেয় পুলিশ। ‘থার্মাল স্ক্রিনিং’-এর পরে, পুলিশ তাঁদের ‘কোয়রান্টিন’--এ পাঠানো হয় বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

আলম শেখ, মাসুদ শেখ নামে দুই পরিযায়ী শ্রমিক বলেন, ‘‘স্মার্টফোনে ম্যাপ দেখেই বাড়ি ফিরব বলে ঠিক করেছিলাম। আমাদের দু'জনের কাছে স্মার্টফোন রয়েছে। কয়েকটি মুড়ির প্যাকেট সঙ্গে নিয়েছিলাম।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown Banduan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE