Advertisement
E-Paper

বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎকে জাতিবিদ্বেষ মামলায় হাজির থাকতেই হবে, নির্দেশ আদালতের

চলতি বছরের ৫ জুলাই উপাচার্য-সহ বিশ্বভারতীর চার জনের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষের মামলা করেছিলেন প্রশান্ত মেশরাম। তিনি বিশ্বভারতীর অ্যাকাডেমিক এবং রিসার্চ বিভাগের রেজিস্ট্রার।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৩
image of bidyut chakraborty

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। — ফাইল চিত্র।

বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে জাতিবিদ্বেষ মামলার পরবর্তী শুনানিতে হাজির থাকতেই হবে বীরভূমের অতিরিক্ত জেলা বিচারক (এডিজে)-এর আদালতে। এই মর্মে নোটিস জারি করার নির্দেশ দিল আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৯ জানুয়ারি। সরকারি আইনজীবী এ-ও জানিয়েছেন, ওই দিন বিদ্যুৎ আদালতে হাজির না থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

বিদ্যুতের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষের মামলা করেছিলেন বিশ্বভারতীরই কর্মী প্রশান্ত মেশরাম। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ বিশ্বভারতীর জয়েন্ট রেজিস্টার তন্ময় নাগ, জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইন্টারনাল অডিট অফিসার প্রশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই মামলা চলছে সিউড়ির এডিজে আদালতে। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। শুনানিতে অভিযুক্ত চার জনের মধ্যে তিন জন উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিদ্যুৎ হাজিরা দিতে আসেননি। এর পরেই নোটিস জারি করার নির্দেশ দেয় আদালত। এর আগেও অক্টোবর মাসে অসুস্থতার কথা জানিয়ে শুনানিতে হাজির হননি তিনি।

বিশ্বভারতীর আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ এখন আর বিশ্বভারতীর উপাচার্য নেই। দিল্লিতে থাকেন। এখনও সেখানেই রয়েছেন। সে কারণে আসতে পারেননি। তবে বাকি তিন জনকে আদালতে হাজির দিতে হবে না। সরকারি আইনজীবী রঞ্জিত গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে পাল্টা সওয়াল করে জানান, বীরভূমের সিউড়িতে বিদ্যুতের পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। অন্য জায়গায় থাকলেও আদালতে হাজিরা দিতে তাঁর অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এর পরেই আদালত নোটিস জারির নির্দেশ দেয়।

চলতি বছরের ৫ জুলাই উপাচার্য-সহ বিশ্বভারতীর চার জনের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষের মামলা করেছিলেন প্রশান্ত। তিনি বিশ্বভারতীর অ্যাকাডেমিক এবং রিসার্চ বিভাগের রেজিস্ট্রার। তাঁর অভিযোগ, ওড়িশার কোরাপুটে সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিয়ামক পদে মনোনীত হন তিনি। তাঁর পদোন্নতি আটকাতে নানা রকম ভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়। এমনকি, তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার জন্য তাঁকে অপমান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন প্রশান্ত। এ নিয়ে তিনি প্রথমে জাতীয় তফসিলি কমিশনের দ্বারস্থ হন। পরে সিউড়ি আদালত, কলকাতা হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছেন। হাই কোর্ট প্রশান্ত ছাড়া অভিযুক্ত তিন জনকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল।

Bidyut Chakraborty Visva Bharati VC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy