Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Anubrata Mondal

‘বুকে পেন ভাই!’ হাসপাতাল থেকে আবার জেলের পথে যেতে যেতে বললেন কেষ্ট, করা হল ইসিজি

রবিবার সকালে কেষ্টকে সংশোধনাগার থেকে নিয়ে যাওয়া হল আসানসোল জেলা হাসপাতালে। বেশ কিছু শারীরিক অসুবিধা ছিল বলে জানা গিয়েছিল। কেষ্ট জানান, তিনি বুকে খুব ব্যথা অনুভব করছেন।

কী কী সমস্যা কেষ্টর?

কী কী সমস্যা কেষ্টর? —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২২ ১২:৫৫
Share: Save:

হঠাৎই অসুস্থ বোধ করেছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডল। রবিবার আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছিল, ঠান্ডা লেগেছে তাঁর। আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে কেষ্ট নিজেই জানালেন, কী সমস্যা হয়েছে তাঁর। কেষ্টর কথায়, ‘‘বুকে পেন ভাই।’’ এর পর হুড়োহুড়ির মধ্যে সাবধানী কেষ্ট বললেন, ‘‘লেগে যাবে, লেগে যাবে (আমার)।’’

অন্য দিকে, আসানসোল জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনুব্রতের কোনও শারীরিক সমস্যা পাওয়া যায়নি। বুকে ব্যথা হয়েছে বলে নিজেই জানিয়ে ছিলেন। তবে সব কিছুই স্বাভাবিক আছে। হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে ইসিজি এবং চেস্ট এক্স-রে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সে সব ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে কেষ্টর। ওই হাসপাতালের এমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার কীর্তি নায়েক বলেন, ‘‘উনি জানান, বুকে ব্যথা অনুভব করছেন। তাই ইসিজি করা হয়েছে। চেস্ট এক্স-রে করা হয়েছে। কোনও অসুবিধা দেখতে পাচ্ছি না। তা ছাড়া, রক্তচাপ, রক্তে শর্করার পরিমাণও স্বাভাবিক আছে বলে দেখলাম। ওজনও ঠিক ঠাক আছে।’’ হাসপাতাল সূত্রে আরও খবর, বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে দৈনন্দিন বেশ কিছু ওষুধ খেতে হয় অনুব্রকে। সেগুলো নিয়মিতই খাচ্ছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ১১ অগস্ট থেকে আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন তৃণমূল নেতা। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বার বার জামিনের আবেদন করলেও প্রতি বারই সেই আবেদন খারিজ করেছে আসানসোলের বিশেষ আদালত। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে তদন্ত করতে চায় তারা। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে ইডি। এর মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা।

ইতিমধ্যে অনুব্রতের কাছ থেকে পাওয়া সমস্ত তথ্যের বিবরণ বয়ান আকারে দিল্লির ইডির আদালতে জমা দেবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ওই তথ্যের ভিত্তিতে ইডির আইনজীবী দিল্লি আদালতের বিচারকের কাছে অনুব্রতকে সেখানে নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানাবেন। যদি আদালত মনে করে, তবে ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ দিতে পারে। না হলে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতেই শুনানির নির্দেশ দিতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE