Advertisement
E-Paper

পর্যটনে জোয়ার শান্তিনিকেতনে, টিকিটের হাহাকার

শীত মানেই দেদার খাওয়া দাওয়া, কেনাকাটা, বেড়াতে যাওয়া। দু’দিন ধরে ফের কনকনে হাওয়ায় ঠান্ডার কাঁপুনি ভালই টের পাওয়া যাচ্ছে।

বাসুদেব ঘোষ 

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৩৭
শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটে পর্যটকেরা। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটে পর্যটকেরা। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

জাঁকিয়ে শীত পড়তেই পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করেছে বোলপুর শান্তিনিকেতন জুড়ে। ট্রেনের টিকিটেও তৈরি হয়েছে হাহাকার। সব মিলিয়ে শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমাচ্ছেন বোলপুর শান্তিনিকেতনে।

শীত মানেই দেদার খাওয়া দাওয়া, কেনাকাটা, বেড়াতে যাওয়া। দু’দিন ধরে ফের কনকনে হাওয়ায় ঠান্ডার কাঁপুনি ভালই টের পাওয়া যাচ্ছে। সেই আমেজ নিতে সোনাঝুরির খোয়াইয়ের হাট, কোপাই নদীর পার, বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবন, সৃজনী শিল্প গ্রাম, ডিয়ার পার্ক প্রভৃতি জয়াগায় এখন রোজই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।

চাহিদা এতটাই যে বোলপুরগামী প্রায় সব ট্রেনেই লম্বা ‘ওয়েটিং লিস্ট’। কলকাতা থেকে বোলপুর হয়ে যাওয়া দূরপাল্লা ট্রেনগুলিতেও টিকিট নেই। এমনকি চড়া ভাড়া হওয়া সত্ত্বেও সদ্য চালু হওয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেও শুক্রবার, শনি, রবিবার-সহ পরের সপ্তাহে কার্যত টিকিট নেই বোলপুর যাওয়ার।

বিশেষ করে সোমবার ২৩ জানুয়ারি হওয়ায় শনি, রবি ও সোমবারের ছুটিতে পর্যটক উপচে পড়ার আশা করছে বোলপুর-শান্তিনিকেতনের হোটেল-রিসর্টগুলি। হোটেল-লজ-রিসর্টের ঘরে ফাঁকা পাওয়া কার্যত অসম্ভব। কোথাও ঘর পাওয়া গেলেও দর অত্যন্ত বেশি। পরে ২৬ জানুয়ারিতে সরস্বতী পুজোর ছুটি এবং তার পরে শনি-রবিবার থাকায় অনেকে বীরভূমমুখী। হাট কাছে বলে সোনাঝুরি লাগোয়া হোটেলগুলিেত ঘর পাওয়ার চাহিদা আকাশছোঁয়া।

প্রান্তিকের হোটেল ব্যবসায়ী মিলন হালদার বলেন, “জাঁকিয়ে শীত পড়তেই পর্যটককেরা ভিড় করতে শুরু করেছেন। তাতে বাজার গত দু’বছরের তুলনায় অনেক ভাল।” একই কথা বলছেন সোনাঝুরি লাগোয়া একটি হোটেলের কর্মী ইন্দ্রজিৎ দাস বৈরাগ্য। তাঁর কথায়, “এই মরসুমে শুক্র থেকে রবিবার পর্যন্ত হোটেল পুরো বুক থাকছে। সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতেও পর্যটক ভাল হওয়ায় ব্যবসার হাল অনেকটাই ফিরেছে।”

কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে বেড়াতে আসা পর্যটক সায়ন্তি মজুমদার, সুশীল দাস, শ্রাবন্তী সাহারা বলেন, “শীতে শান্তিনিকেতনের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে কে না চায়। তা দেখতেই বারে বারে ছুটে আসতে ইচ্ছা করে। তাই এ বারও চলে আসা।” টালিগঞ্জ থেকে আসা মীনাক্ষী দাস, সমীরণ ঘোষরা বলেন, ‘‘নিজের গাড়ি থাকলে সবচেয়ে ভাল। ট্রেনের টিকিট পেতে আমরা নাজেহাল হয়ে গিয়েছি।

গত দু’বছর অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে এই মরসুমে পর্যটকদের জোয়ার নামায় হোটেল ছাড়াও বোলপুর শান্তিনিকেতনের আরও নানা ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। বাড়তি রোজগার হওয়ায় খুশি এলাকার টোটো চালকেরাও।

Bolpur Shantiniketan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy